চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর অবসরপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেছেন আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে যাবো। আমার কোন কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। আমি পিছু টান নেই। আপনরাই আমার পরিবার। আপনাদের সাথে থাকাই আমার জীবনের আনন্দ।
তিনি মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাজীগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বেলা সাড়ে ১১টায় মাড়কি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাড়ে ১টায় কাপাইকাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারিত ভবন, আড়াইটায় সাকছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিকেলে বলাখাল আরজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত ভবনের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসরণকৃত ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে আপনাদের সাথে আছি। আজীবন আপনাদের সেবা করে যেতে চাই।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে জনগণের সম্পদ লুঠ করেছে আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করেছে।
তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের কারো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি কোন ব্যবস্থা নেইনি আর নেবওনা। তিনি বলেন আমি ইদানীং লক্ষ করছি একটি রাজনৈতিক দলের এক/দুইজন উশৃঙ্খল ব্যক্তি এলাকায় অশান্তি সৃস্টি করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদেরকে একটু সতর্ক করে বলবো, আমরা শান্তপ্রকৃতির এর অর্থ এই না, আমরা দূর্বল। আমরা অশান্তি চাইনা, কিন্তু কেউ যদি অশান্তি সৃষ্টি করতে চাই তাহলে আমরা আইনগতভাবে তাকে কিভাবে ঠাÐা করতে হয়, তা আমরা করবো। আমাদের মাঝে কেউ অশান্তি সৃষ্টি করতে দেবোনা।
তিনি বলেন, আমাদের দলের বিরুদ্ধে ওই বিরোধী গ্রæপের কিছু লোক ঢুকে ছদ্মবেশে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আপনারা তাদের থেকে সাবধান থাকবেন। তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করবেন।
মেজর রফিক বলেন, আমরা চাই মানুষের উন্নয়ণ, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। আরা তারা চাচ্ছে অশান্তি সৃষ্টি করে লুঠপাট করে খেতে।
তিনি বলেন, তারা আমার যতো বিরোধীতা করুক সরকারি বরাদ্ধ আমি লুঠপাট করতে দেবোনা। জনগণের প্রাপ্য জনগণকে বুঝিয়ে দেবো।
মেজর রফিক বলেন, হাজীগঞ্জ শাহরাস্তিতে এক সময় মাত্র ৭ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ছিল এখন ৭’চশত কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়েছে। সাত থেকে ৮শ ব্রীজ কালভার্ট হয়েছে। ব্রীজ-কালভার্ট করার মতো আর অবশিষ্ট কিছু নেই। শুধু মাত্র ডাকাতিয়া নদীর উপরই ৮ ব্রীজ করা হয়েছে। সাড়ে ৭শ নতুন স্কুল মাদরাসা ও কলেজ ভবন করা হয়েছে। হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি উপজেলা মিলে প্রতি বছর ৪০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরণের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ যদি সুস্থ্য রাখে আগামী সংসদ নির্বাচন আমি করবো এবং আপনাদের ভোটে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবো।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়ণের সরকার। শেখ হাসিনার সরকারি জনগণের সরকার। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার।
তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, উন্নয়ণের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আবারো বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এজন্য সকল বিভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপ-সচিব মোস্তফা কামাল লালু, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাছান মানিক, জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌ. রেজওয়ানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া, খোরশেদ আলম বকাউল, আ. রব মিয়া, কালচো উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান পলাশ, দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসেম, কাকৈরতলা জনতা কলেজের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, কাউন্সিলর আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আবদুল হাদি, ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন, মজিবুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের,পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজন চন্দ্র সাহা, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি, ছাত্রলীগ নেতা জীবন কাজী, ইয়াছিন, ফয়সাল, ফরহাদ’সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।