চাঁদপুরে প্রায় বেশ বয়স্ক ৭১ কেজি ওজনের কাছিম জবাই করার সময় টের পেয়ে উদ্ধার করল চাঁদপুর সদর মডেল পুলিশ। পরবর্তীতে এটি বন বিভাগের সহযোগিতায় মেঘনা নদীতে অবমুক্ত করা হয়। বন বিভাগ বলছে-কাছিমটির বয়স প্রায় ২০০ বছর।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাছিমটি চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনায় মেঘনা নদীতে অবমুক্তর করেন সদর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় সদর উপজেলা বনবিভাগ।
গত কয়েকদিন আগে জেলার হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এলাকার জেলেদের জালে মেঘনা নদীতে ধরা পড়ে কাছিমটি। পরে আজ সকালে মো. জসিম উদ্দিন নামে জৈনিক ব্যবসায়ী এটি ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন সদরের বালিয়া ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের বালিয়া বাজার এলাকার সনাতন ধর্মের ত্রিপুরা জাতির লোকজন ১৯ হাজার টাকায় ক্রয় করেন জসিমের কাছ থেকে।
কাছিমটি ত্রিপুরা জাতির লোকজন ক্রয় করে তাদের বাড়ীতে বাগানে রাখলে এলাকার শত শত মানুষ ২০০ বছর বয়সী কাছিম দেখতে ভীড় জমায়। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জানাজানি হলে দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং পরবর্তীতে সদর বন বিভাগের কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনও সেখানে যান।
ত্রিপুরা জাতির কর্তা ব্যাক্তি খোকন ত্রিপুরা জানান, মূলত আমরা এটি খাওয়ার জন্য ক্রয় করেছি। এটি জবাই করে খাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। পরে প্রশাসনের লোকজন আসার পরে দিয়ে দিয়েছি। আমাদের বাড়ীর বয়স্ক লোকদের ধারণা এটির বয়স প্রায় ২০০ বছরের বেশী হবে। আমাদের জাতির লোকজন এ ধরণের কাছিম পূর্বে থেকে খেয়ে আসছেন। তবে এগুলো এখন খুব কম পাওয়া যায়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান জানান, কাছিম ধরা পড়ার খবর পেয়ে অফিসার ইনচার্জ আমাকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে এটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি এবং অবমুক্ত করার ব্যবস্থা করি।
চাঁদপুর সদর বন বিভাগের কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন জানান, নদী থেকে কাছিম ধরা বিক্রি ও মাংস খাওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। এই ধরণের কাছিম এখন খুবই দেখা যায়। বিশাল আকৃতির কাছিমটি জবাই করার প্রস্তুতিকালে খবর শুনে সেটি পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। পরর্তীতে শহরের বড় স্টেশন তিন নদীর মোহনা মেঘনায় ছেড়ে দিয়ে কাছিমটি অবমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, উপস্থিত সকলকে বলা হয়- যারা নদী থেকে কাছিম ধরবে ও বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ধরণের কোন তথ্য পেলে পুলিশ এবং আমাদেরকে জানানো হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.