অনলাইন নিজউ ডেস্ক :
নির্বাচনী তথ্য দিতে অসহযোগিতার বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী নাহিদ রসুলের বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ২১ জন সাংবাদিক। গতকাল শনিবার সিইসির দাপ্তরিক মেইলে তাঁরা এই অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জেলায় যোগদানের পর থেকেই স্থানীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। সংবাদ-সংক্রান্ত বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের ফোন ধরেন না। কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁর নিয়োজিত কর্মকর্তার কাছে চিরকুট দিতে হয়। চিরকুটে সাক্ষাতের বিষয় উল্লেখ করতে হয়। এরপর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সাক্ষাতের অনুমতি মেলে না।
এমনকি তথ্য সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করলে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কারণে তাঁর কার্যালয়ে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাংবাদিকদের সঙ্গে আচরণও নেতিবাচক।
অভিযোগে আরও জানা যায়, বর্তমানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-সংক্রান্ত সংবাদ তৈরিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের বক্তব্য না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা। পাশাপাশি ফোন না ধরা ও সাক্ষাৎ না করায় জেলা প্রশাসককে নির্বাচনী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কেউ তাঁকে জানাতে পারছেন না। ২৭ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তাঁর কাছে রিটার্নিং কর্মকর্তার এসব বিষয় তুলে ধরেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।
সেই সময় সুষ্ঠু নির্বাচনে সাংবাদিকদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেছিলেন, ‘আমি বলে যাব, তিনি (ডিসি) সাংবাদিকদের ফোন ধরবেন এবং নির্বাচনী তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।’
ইসির আশ্বাসের পরও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফোন ধরেননি বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধার সাংবাদিক বিপ্লব ইসলাম। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৭ জানুয়ারির সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাঁকে বদলি করা গাইবান্ধার মানুষের কাছে সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। (প্রথম আলো)
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.