দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠন করা আওয়ামী লীগ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. দীপু মনি। যিনি দশম জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও একাদশে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে নতুন এই মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
নতুন মন্ত্রিসভায় এবার প্রথমবারের মতো ১৪ জন যুক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া বাদ পড়েছেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার অনেকে। তবে বিদায়ী মন্ত্রিসভার অনেকে নতুন মন্ত্রিসভায়ও ঠাঁই পেয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ডা. দীপু মনি। যিনি বিদায়ী মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
দীপু মনি ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একুশে পদক বিজয়ী ভাষা আন্দোলন কর্মী ও রাজনীতিবিদ এমএ ওয়াদুদ। মা রহিমা ওয়াদুদ ছিলেন শিক্ষিকা।দুই ভাইবোনের মধ্যে একমাত্র ভাই জেআর ওয়াদুদ টিপু একজন চিকিৎসক।তার স্বামী বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট তৌফিক নাওয়াজ।
দীপু মনি হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পড়েন। এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এ ছাড়া লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন দীপু মনি।
দীপু মনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।একই সঙ্গে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন দীপু মনি। এরপর ২০১৯ সালে ২১তম কাউন্সিলেও একই পদে বহাল থাকেন তিনি। তবে ২০২২ সালে ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে একই পদে বহাল থাকলেও আওয়ামী লীগের চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে তিন নম্বর থেকে ৪-এ দেওয়া হয় তাকে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দীপু মনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.