দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। এবার বেড়েছে চালের দামও। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। চলতি মাসের মাঝে শীতকালীন সবজিতে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও ভরা মৌসুমে ফের দাম চড়া।
শুক্রবার (১২ জানূয়ারি) হাজীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের শুরুতে অধিকাংশ শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, চিনি, চাল, আটা ও ডাল।
বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৭০-৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু আর পুরাতন আলু ৬০ টাকা। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।
এছাড়া পাকা টমেটোর কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ১০০-১২০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
স্থানভেদে কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, কচুর মুখী ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়া আকার অনুযায়ী পিস ৫০ থেকে ৮০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ২০-৩০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে ফার্মের মুরগী কিছুটা কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি প্রকার ও স্থানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস দাম কমে ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে মাছের দাম অনেকটা আগের সপ্তাহের মতোই স্থিতিশীল আছে। স্থানভেদে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.