স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের তথ্য গোপন রেখে ইয়ে চেংচেন নামের এক নারীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছেন ঝাং। বিয়ের পর চেংচেন জানতে পারেন ওই দুই সন্তানের কথা। পরে ঝাংকে বাধ্য করেন ওই শিশুদের হত্যা করতে। শিশু দুটির একটি বয়স ছিল এক বছর, আরেকটির বয়স দুই বছর।
এরপর ১৫ তলা ভবনের ওপর থেকে জানালা দিয়ে দুই সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলেন ঝাং। এমন অপরাধের জন্য ঝাং ও চেংচেনকে দুবছর আগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন দেশটির একটি আদালত। এবার ইনজেকশন প্রয়োগ করে তাদের হত্যা কার্যকর করা হয়েছে।
ইয়ে চেংচেনের দাবি ছিল, দুই সন্তান নিয়ে নতুন করে সংসার শুরু করা এক প্রকার বিপত্তি। তাই তাদের পৃথিবীতে না রাখাই শ্রেয়। এরপর ওই দুই শিশুকে হত্যা করেন ঝাং।
ঝাং এর এ ঘটনার পর তোলপাড় শুরু হয় গোটা চীনজুড়ে। দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ঝাং যা করেছেন তাতে তিনি শোকাহত। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দেয়ালে মাথা ঠুকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁদছেন তিনি।
নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার আগের স্ত্রী চেন মেইলিনকে ডিভোর্স দিয়েছেন ঝাং।
ঝাং এর এমন নিমর্ম অপরাধের কথা শুনে তার আগের স্ত্রী বলেন, এ খবর শুনে আমি অনুভূতি প্রকাশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। আমি কল্পনাও করতে পারিনা, আমার বাচ্চারা ১৫ তলা থেকে কিভাবে ফেলে দেয়া হলো!
সূত্র: এনডিটিভি
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.