মনিরুল ইসলাম মনির:
চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নসহ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে সারা দেশের শীর্ষ-২০ র্যাংকিংয়ে ১৯তম স্থান দখল করেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে লোকবল ও প্রয়োজনীয় রোগ নিরীক্ষার সংকটের মধ্যেও তিন স্তরের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে এখন দেশ সেরা শীর্ষ-২০ এ প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু দুটি বিষয়ের (সুবিধার পর্যাপ্ততা বা ফ্যাসিলিটি স্কোরিং ও অনসাইট মনিটরিং) ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তালিকা নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সেখানে স্বাস্থ্য সুবিধার পর্যাপ্ততা (ফ্যাসিলিটি স্কোরিং), অনসাইট মনিটরিং (অনলাইন পর্যবেক্ষণ), ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনে (বস্তুগত যাচাই) ও পেশেন্ট স্যাটিসফেকশন (রোগী সন্তুষ্টি) নিয়ে নির্দিষ্ট নম্বরের স্কোরের ভিত্তিতে র্যাংকিং করা হয়। এক্ষেত্রে প্রধানত চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশের পর্যাপ্ততা, বহির্বিভাগ, রোগী ভর্তিসহ হাসপাতালের সার্বিক সেবা ও সুবিধা বিবেচনা করা হয়।
এক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে অনসাইট মনিটরিংয়ের কাজটি করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে মূলত চিকিৎসা যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন সেবা যাচাই করা হয়। এরপর রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হয়, তারা সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা। এক্ষেত্রে ফ্যাসিলিটি স্কোরে ৮০, অনসাইট মনিটরিংয়ে ২০, বস্তুগত যাচাইয়ে ১৫০ ও রোগী সন্তুষ্টি ৫০ মিলিয়ে মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে সার্বিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, রোগীদের সন্তুষ্টি ও আস্থা অর্জন, চিকিৎসক, সেবিকা, কর্মকর্তা, ও কর্মচারীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন, অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত, সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক দিকে বিশেষ অবদান রাখার কারণে দেশসেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তালিকায় ১৯ তম স্থান দখল করে।
মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, আমরা প্রথমেই চিকিৎসা প্রদানের জন্য রোগীদের পরিবেশ নিশ্চিত করেছি, একই সাথে চিকিৎসকদের উপস্থিতি আর সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সব মিলিয়ে র্যাংকিং বাংলাদেশের মধ্যে ১৯তম স্থান অধিকার করেছি। আমাদের এই সফলতার পিছনে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম সার্বিক সহযোগীতা করেছেন।