মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (১৭ মার্চ) সকালে কলেজের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ এবং দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে সশ্রদ্ধ সালাম পেশ করেন বিএনসিসির সদস্যরা। এরপর কলেজ গভর্ণিং বডি, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক-কর্মচারী, স্কাউটস ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সভার শুরুতেই অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলন ও স্বাধীনতার মহানায়ক। তাঁর অনুপ্রেরণায় বাঙ্গালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাক হানাদার বাহিনীকে বিতারিত করে এ দেশকে মুক্ত করেন। আমরা তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’’
সহকারী অধ্যাপক তৌহিদা আকতারের উপস্থাপনায় সভায় গভর্ণিং বডি’র সদস্য মধ্যে বক্তব্য দেন, মো. আজিম মজুমদার, মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, আরিফ হোসেন মজুমদার, অহিদুল ইসলাম চৌধুরী মহন, শিক্ষকদের মধ্যে নাজমা আক্তার, মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান, মো. বেলাল হোসেন, বিলকিস আরা বেগম, মো. উজ্জ্বল হোসেন। বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক আবু নোমান মো. মফিজুর রহমান।
দোয়া ও মোনাজাতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারবর্গের জন্য মাগফেরাত কামনা এবং হাজীগঞ্জ-শাহ্রাস্তির সংসদ সদস্য জনাব মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও তাঁর সহধর্মীনী, কলেজের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সহিদ উল্লা মিয়া, ভূমিদাতা সদস্য, অধ্যক্ষ, গভর্ণিং বডি’র সদস্য ও শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দসহ সকলের জন্য দোয়া করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।