মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
চলতি বছর হাজীগঞ্জে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় উপজেলার ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৬৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৪৫ জন। পাশের হার ৯৪.২৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১২ জন। অথচ অন্যান্য বছর অর্ধ-শতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে থাকে।
গত বছরও (২০২৩) এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৫১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ দিকে এ বছর পাশকৃত ৩৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৩২৩ জন, এ মাইনাস ৯ জন ও বি গ্রেড ১ এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২১ জন শিক্ষার্থী।
উপজেলায় জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সেরা অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭৪ জন। পাশের হার ৯০.২৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন, এ গ্রেড ৬৮ জন ও এ মাইনাস ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩৮জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬০ জন। পাশের হার ৯৬.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, এ গ্রেড ৫৫ জন, এ মাইনাস ১ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন।
ততৃীয় অবস্থানে বলাখাল জে.এন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৯ জন। পাশের হার ৯৯.৫৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ৭৩জন, এ মাইনাস ৪ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন।
চতুর্থ অবস্থানে রামচন্দ্রপুর ভুইয়া একাডেমি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৭ জন। পাশের হার ৯০.২৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ২৬ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন।
অপর দিকে এ বছর হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৯ জন। পাশের হার ৯৪ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৭৭ জন, এ মাইনাস ২ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন। এই প্রথম এই প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি।
হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৬ জন। এর মধ্যে এ গ্রেড ২৪ জন, এ মাইনাস ১ জন, বি গ্রেড ১ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.