সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আসছে বাজেটে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ভাতাভোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার পরিমাণ বাড়ার পরিকল্পনা নেই। শনিবার (১৮ মে) কুড়িগ্রাম শহরের উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে না। ভাতার পরিমাণটা আসলে কোনও ভাতাভোগীর জন্য একমাত্র অবলম্বন নয়। অনেকগুলো কারণে ভাতা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তিনি (সুবিধাভোগী) যেন নিজেকে অসহায় মনে না করেন। যেন ভাবেন, সরকার তার পাশে আছে।’ অবশ্যই দেশ ও সরকারের সক্ষমতা বাড়ার সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘অবশ্যই এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’ তবে ভাতাভোগীদের তালিকা প্রকাশ কিংবা তথ্যের সহজলভ্যতার বিষয়ে অধস্তন কার্যালয়কে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা দেননি মন্ত্রী।
উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জাদুঘরে রক্ষিত ১৯৭৩ সালে কুড়িগ্রামে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের কৃতিসন্তান অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, এককালীন চিকিৎসা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থী ভাতাসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার।
প্রতি মাসে বয়স্ক ভাতা ৬০০ টাকা, বিধবা ভাতা ৫৫০ টাকা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা ৮৫০ টাকা পান সুবিধাভোগীরা। কুড়িগ্রামে শুধু প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধা পান প্রায় ৭৭ হাজার ব্যক্তি। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে প্রাপ্ত ভাতা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না সুবিধাভোগীরা। এ অবস্থায় ভাতার টাকার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন এসব সুবিধার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.