ফাইনাল মানেই আনহেল দি মারিয়ার গোল, এটা এবার আর হয়নি। কিন্তু আর্জেন্টিনার সর্বশেষ কয়েকটি ফাইনালে যা হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা ছিল আজও, ট্রফি জিতেই সতীর্থদের সঙ্গে মাঠ ছেড়েছেন দি মারিয়া। আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের শেষ ম্যাচে ট্রফি জয়ের আনন্দে বুঁদ আর্জেন্টাইন উইঙ্গার।
লাওতারো মার্তিনেজের ১১২ মিনিটের গোলে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনার ত্রিমুকুট জয়ের পর দি মারিয়া কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলের নতুন প্রজন্মের সতীর্থদের। একই সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন লম্বা শিরোপা-খরার পর আর্জেন্টিনার টানা চারটি শিরোপা জয় নিয়েও।
২০২১ সালের কোপা আমেরিকা, ২০২২ সালে লা ফিনালিসিমা, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ও ২০২৪ কোপা আমেরিকা—আর্জেন্টিনা টানা চারটি শিরোপা জয়ের পর অনেকেরই মনে হতে পারে, কাজটা যেন কত সহজ। আসলে যে তা নয়, দি মারিয়া বলেছেন সেটিই।
ম্যাচ শেষে দি মারিয়া মাঠেই তাঁর অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘এটাকে অনেক সহজ মনে হতে পারে, কিন্তু এটা খুব কঠিন।’ টানা এতগুলো শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দি মারিয়া তাঁর এই প্রজন্মের সতীর্থদের দিয়েছেন এভাবে, ‘যারা নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছে, আমাদের এই প্রজন্মের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমি যা খুব করে চেয়েছিলাম, তারা আমাকে সেটা অর্জন করতে দিয়েছে।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর ১৯৯৩ সালের কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপরই শুরু তাদের শিরোপা-খরা। ক্যারিয়ারের শুরুতে সেই খরার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দি মারিয়াকেও। ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলেছেন, ফিরেছেন শুধু হাহাকার নিয়ে। এর মধ্যে তো ২০১৪ বিশ্বকাপে হৃদয় ভাঙে ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে।
ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে এত কিছু জয়ের পর সেই সময়কার সতীর্থদের জন্য হয়তো প্রাণটা একটু কেঁদে উঠল দি মারিয়ার, ‘আমার মনে হয়, আমি যদি আগের প্রজন্মের সঙ্গে কিছু জিততে পারতাম। তাদেরও এটা (শিরোপা জয়) প্রাপ্য ছিল।’
শিরোপা জিতে বিদায়—এমন ভাগ্য কয়জন খেলোয়াড়েরই আর আছে। তাও আবার আগেই বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন দি মারিয়া। ম্যাচ শেষে এটাকে নিয়তি বলেই মনে করছেন, ‘এটাই লেখা ছিল এবং এভাবেই লেখা ছিল। আমি এই সবকিছুরই স্বপ্ন দেখেছি এবং আমি ছেলেদের এটা বলেছি। আমার মনে অনেক অনেক সুন্দর স্মৃতি।’
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.