ইসরায়েলকে রক্ষায় মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত রণতরি ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলে ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রে থাকা দেশটির সমর্থক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সম্ভাব্য হামলার প্রেক্ষাপটে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বুধবার ইরানের তেহরানে এক হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও এর কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একজন গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার নিহত হন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ইরান-সমর্থিত হামাস ও হিজবুল্লাহর দুই নেতার এমন হত্যাকাণ্ডে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
ইতিমধ্যে হানিয়া হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলকে ‘কঠোর সাজা’ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছেন তিনি। পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েলও। এ অবস্থায় বাস্তব অর্থেই ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পেন্টাগন বলেছে, ইসরায়েলকে রক্ষায় তার প্রতিশ্রুতি ‘ইস্পাত কঠিন’। মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বাড়তি প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
হামাস নেতা হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির মিত্র সশস্ত্র সংগঠনগুলো। তবে এ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার।
হানিয়া (৬২) হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ছিলেন। তবে সার্বিকভাবে সংগঠনটির সব শাখার নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো তাঁকে। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন তিনি।
এক বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, ‘এই নতুন মোতায়েন (রণতরি ও যুদ্ধবিমান) এতদঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় মার্কিন সমর্থন দৃঢ় ও আকস্মিক ঘটনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র যে সাড়া দিতে প্রস্তুত, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.