মো. জহির হোসেন:
হাজীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা তানভীর ও স্বেচ্ছাসেবদলের কুদ্দুসকে হাসপাতালে দেখতে গেছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল সুমন।
সোমবার বিকেলে তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা তানভীরের ও কুদ্দুস কে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় তিনি বলেন, “এই ন্যাক্কারজনক হামলার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
হাসপাতালে আহত তানভীরের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মোস্তফা কামাল সুমন অন্য আহতদেরও খোঁজ নেন। তিনি চিকিৎসা ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তার সঙ্গে ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সাল, সাবেক সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর (উঃ) ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের দশআনি বাড়ির জামে মসজিদের সামনে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার স্থান থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয় যুবলীগ নেতা কাইয়ুম, ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ইয়াসিন এবং তাদের সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদল ও যুবদল নেতাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এই হামলায় গুরুতর আহত হন যুবদলের সদস্য সচিব কাজী জসিম, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কুদ্দুছ, ছাত্রদলের নেতা তানভীর, লিটন ও নেছার আহমেদ চৌধুরী।
আহতদের প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর ১ ডিসেম্বর মোহাম্মদ বাবুল বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত করছি এবং প্রকৃত অপরাধীদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।”
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.