স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার পায়েল হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বিকালে দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা বলেন, নাজাত ভূইয়া নিস্বর্গ, তার বাবা দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজের সহ. অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও তার মা সহ. অধ্যাপক জেসমিন আকতার তাদের পুত্রবধু সুমাইয়া আক্তার পায়েলকে নির্মমভাবে হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রেখেছিলো। পুলিশ শুধু নিস্বর্গকে আটক করেছে। আবদুল মান্নান ও জেসমিন আকতারকে ছেড়ে দিয়েছে। অবিলম্বে নিস্বর্গের বাবা-মা ও সাথে জড়িত অজ্ঞাতদের আটক করতে হবে। আর না হলে থানা ঘেরাও করা হবে।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা আরো বলেন, নাজাত ভূইয়া নিস্বর্গ একজন মাদকাসক্তা। এর পূর্বে সে তার আরেক স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার মৃতদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো। পায়েল তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
দেশগাঁও জিগ্রী কলেজের মেধাবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার পায়েল হত্যার বিচার দাবীতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তার বাবা সাগর চৌধুরীর, স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, এলাকাবাসী পক্ষে হাফেজ মিজানুর রহমান, আহিদুল ইসলাম, রাসেল আটিয়া, আবদুল হামিদ খান, হেলাল খান, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, শেখ ফরিদ, ফয়সাল মিজি, মনির সর্দার, কাউছার আলম, আবুল বাসার লিটন, জামাল আটিয়া, ইউনুস মুন্সী, হোসেন হাজী সবুজ সরকার প্রমূখ।
মানববন্ধন শেষে সুমাইয়া আক্তার পায়েল হত্যার বিচার দাবি ও আসামিদের গ্রেফতারে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর শনিবার রাতে সুমাইয়া আক্তার পায়েলকে হত্যা করে তার মৃতদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে নিহত পায়েলের বাবা সাগর চৌধুরী পায়েলের স্বামী নাজাত ভূইয়া নিস্বর্গ, তার বাবা দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজের সহ. অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও তার মা একই কলেজের সহ. অধ্যাপক জেসমিন আকতারসহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে হাজীগঞ্জ থানায় ১৫ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৪।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.