কচুয়া প্রতিনিধি ॥
স্বামী পরিত্যক্তা শাহেরা বেগম জমি ক্রয় করে তার দুই সন্তানকে নিয়ে সর্বদা আতংকে ও নিরাপত্তাহীনতায় অভিযোগ উঠেছে। শাহেরা বেগম কচুয়া উপজেলার আটোমোড় গ্রামে মৃত শামছুল মিয়ার মেয়ে। একই গ্রামের মাদবর খলিফার মেয়ে মোসা: মাহমুদার কাছ থেকে ২০১৫ সাথে ৪ শতক জমি ২ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করে। তার পরে ঘটে বিভিন্ন নাটকীয়তা। থানার পুশিলের কাছে অভিযোগ দিয়েও বিচার না পেয়ে সর্বশেষ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেন শায়েরা বেগম।
ভুক্তভোগী শায়েরা বেগম লিখিত অভিযোগ উল্লেখ্য করেন,২০১৫ সালে একই গ্রামের খলিফার মেয়ে মাহমুদা বেগমের কাছ থেকে শায়েরা বেগমের বসত বাড়ীর পুকুরের পূর্ব দক্ষিণ পাড়ে ০৪ শতক সম্পত্তি ২লক্ষ্য টাকা মূল্য ধার্য্য করে ৯০ হাজার টাকা বায়না করে জমির দখল বুঝিয়ে দেয় বিবাদী মাহমুদা বেগম ও তার স্বামী। শায়েরা বেগম ২০২৩ সালে মাহমুদার ভাই জহিরুল ইসলামের কাছে নগদ ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও সম্পত্তি দলিল করিয়া দেওয়ার কথা বললে তালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা সালিশ বসলে বিবাদী জমি বিক্রয় করে নাই বলিয়া অস্বীকার করে। এই নিয়ে মাহমুদা বেগম গংদের সাথে কয়েকধাপে হুমকি ধমকী, মারধর, প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করলে ২০২৩ সাথে ৭ জানুয়ারী কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ দায়ের করলে শায়েরা বেগমের পক্ষে রায় আসে। পরবর্তীতে মাহমুদা পুনরায় রায় অমান্য করে পূর্ব কার্যকলাপ শুরু করলে স্থানীয়দের পরামর্শে ২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল পুনরায় অফিসার ইনচার্জ কচুয়া থানা বরাবর আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে শায়েরা এবং অভিযোগের ভিত্তিতে শালীশি সমাধানের মাধ্যমে ২০২৪ সালে ১৩ মে তারিখে একটি বায়নাপত্র হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বিবাদী বায়নাপত্র অমান্য করে পুনরায় আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভোগদখল এবং অর্থ লেনদেন অস্বীকার করে হুমকি ধমকী প্রদান করে। ফলে আমরা সর্বদা আতঙ্কে থাকি এবং জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। সর্বশেষ কচুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী শায়েরা বেগম বলেন,আমার প্রাক্তন স্বামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাতেন সরকার। বাতেন সরকারের ফুফাতো বোন মাহমুদা বেগমের কাছ থেকে ৪শতক জমি ক্রয় করি ২০১৫ সালে। বাতেন সরকার আমার দুই ছেলে সন্তান রেখে আমাকে ডিভোর্স দেয়। বাতেন সরকারের সকল সম্পত্তি বিক্রি করে আমার ছেলেদেরকে কোন সম্পত্তি না দিয়ে বাড়ির থেকে চলে যায়। আমার ক্রয়কৃত ৪শতক সম্পত্তির উপর দুই ছেলেকে নিয়ে মাথাগোঁজার ঠাই শেষ সম্বল। টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেও এখন নিরাপত্তহীনতা ভোগছি।
তিনি আরো বলেন,২০২৪ সালে ৫ মে বিবাদী মাহমুদা বেগমের ভাই জহিরুল ইসলাম, মেয়ের জামাই দোলন,দেবর মোখলেছুর রহমান,ভাগিনা আব্দুল হাই ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার জাবের মিয়া বায়নাপত্রে স্বাক্ষরিত স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিতে সর্বশেষ জমির মূল্য ৩লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নির্ধারন করে সম্পন্ন টাকা মাহমুদাকে বুঝিয়ে দিলে আমাকে রেজিষ্ট্রি করে দিবে বলে বায়নাপত্রে মাহমুদা রহমান স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর দেয়। বর্তমানে এসে আমার দখলীয় জমি রেজিষ্ট্রি না দিয়ে জমি দখল ছাড়ার জর্য হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছেন বিবাদী মাহমুদা রহমান। আগামী ১৫ জানুয়ারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে শুনানি দিন ধার্য করা হয়েছে। আশা করছি আমি ন্যায় বিচার পাবো।
বিবাদী মাহমুদা রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2025 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.