অজ্ঞাত পুরুষের সাথে মোবাইলে কথা বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাবার দায়ের কোপে মেয়ে নিহত হয়েছেন। পরিবারের ভাষ্য, মেয়ে মোবাইলে কথা বলতো। কিন্তু বাবার নিষেধ না শোনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে হবিগঞ্জ মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের নাম রানু বেগম (১৫)। তিনি ওই গ্রামের মাইনুদ্দিনের (৪২) কন্যা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রানু বেশির ভাগ সময় অজ্ঞাত পুরুষের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতো। বিষয়টি বাবা ভালোভাবে নিতেন না। মেয়েকে নিবৃত্ত করতে বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে বিকেলে কথা বলার সময় পিছন থেকে ধারালো দা দিয়ে মেয়ের ঘাড়ে কোপ দেন। এতে মেয়ের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক পিতাকে আটক করেছে। আটকের পর এ ঘটনার দায় স্বীকারও করেছেন বাবা।
রানুর মা শাহেদা বেগম জানান, মোবাইলে কথা বলার জেরে স্বামী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তার ভাষ্য, মঈনুদ্দিন পুলিশের কাছে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আটক মঈনুদ্দিন থানা হেফাজতে রয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2025 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.