বাংলাদেশের দিকে প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। সোমবার সকালে উপকূলীয় ১৩ জেলায় ৭ নম্বর সংকেত জারি করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার সকালে বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রে যেসব জাহাজ যেখানে অবস্থান করছে, সেখান থেকে না সরতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।’
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক এবং ভোলা নদীবন্দর কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সোমবার সকালে বলেছেন, ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়াও রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে সিত্রাং।
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ৭ নম্বর সংকেত দেওয়া হয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.