হাবিবুর রহমান:
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ৮৪ পদের ৪৬ পদ শূন্য থাকায় মফস্বলের সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
প্রতিটি কেন্দ্রে পদ সংখ্যা ৭টি।এর মধ্যে ১ জন এম ও,১জন এস এ সি এমন ও,১জন এবং ১জন ডাভলিউ ভী,এবং ১জন এফ পি আই,১জন এফডিভলিউ,২ জন আয়া ও১ জন এম এল এস এস সহ মোট সাতটি পদ নিয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পরিচালনা করার কথা রয়েছে।
তবে ১২ টির মধ্যে এম ওর সব কয়টি শূন্য। তবে করোনার কারণে উপরের আদেশে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা গোলাম মাওলা জানান।
এ ছাড়া ১২টি এস এ সি এম ও রং ৫টি , FWV এর ৫টি , সিআইএর ২টি, এবং ডাভলিওএর ৬৩ পদেও১০ টি আয়া ১২টির ৭টি এবং এম এল এস এস এর ১২ পদের ৫ টি পদ শূন্য রয়েছে।
এতে করে মফস্বলের সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে দারুন ভাবে। ৮ নং হাঁটিলা পূর্ব ইউনিয়নের নবনির্মিত অত্যাধুনিকস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে বেলা ১টার দিকে গিয়ে দেখা যায় ৬ নং পূর্ব বড়কূল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী ইউনিয়ন কর্মকর্তা ইয়াছিন আরাফাত
অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিন তিনি ৫৮ জন সাধারণ রোগী ,১৭ জন শিশু রোগী,৩ জন গভবতী সেবা ও এক জন কে পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়।
এলাকা বাসীর কাছে এখনো এ কেন্দ্রের সকল প্রকার সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।এর জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার সুধীজনের অবহেলা রয়েছে বলে জানা যায়।যদিও সরাসরি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে বহু বার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সকল চিকিৎসা সেবার বিষয়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণত মহিলারা বিভিন্ন সিরিজ সিরিয়ার দেখা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
যদিও সরকার স্বাস্থ্য সেবা মানুষের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এ সকল কেন্দ্র গুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন আমাদের সিমিত জনবল নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।সহ সাই শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হবে।