ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ইউনিট প্রতি এক টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি।
রোববার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সঞ্চালন সংস্থা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
শুনানিতে আগ্রহী পক্ষগুলো নিজ নিজ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। বিদ্যুতের বিদ্যমান গড়মূল্য ৭ টাকা ০২ পয়সা। প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে বিইআরসি নতুন ভারিত গড় মূল্য ৮ টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল ও চারজন সদস্য শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। দুপুরের পর শুনানিতে জেরা পর্ব শুরু হবে।
গত নভেম্বরে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার পরপরই খুচরায় দাম বাড়াতে আবেদন জমা দিতে থাকে বিতরণ সংস্থাগুলো। সেই আবেদন কারিগরি কমিটিতে মূল্যায়ন শেষে এখন গণশুনানি হচ্ছে।
ভর্তুকির ভার কমাতে গত বছরের ২১ নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।
এর ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করছে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ৫ টাকা ১৭ পয়সা ছিল।
ওই ঘোষণার পর ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিপিডিবি, বিআরইবি, ডেসকো, ডিপিডিসি, নেসকো, ওজোপাডিকো খুচরা বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করতে আবেদন করতে থাকে।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের দাম সব পর্যায়ে বাড়ানো হয়। তখন পাইকারিতে দাম ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। তাতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৬ পয়সা বেড়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সা হয়, যে হার এখনও বহাল।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.