পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যে দেশের বড় একটি দলের বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন তাদের নির্বাচনে চুরি হয়েছে- সেই দেশকে বাংলাদেশ নিয়ে মাতবরি করার প্রয়োজন নেই। তারা নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুক। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস জানে না, ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করেন না বলেই অনেক সময় বাংলাদেশ নিয়ে অবান্তর মন্তব্য করেন।
রোববার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রমের উদ্বোধনে রোববার সকালে বিমানবন্দরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুপুর ১২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আগমন ও বহির্গমনে স্থাপিত ৬টি ই-গেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় জানানো হয় ই-গেট চালু হওয়ায় মাত্র ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা। তবে এজন্য তাদের কাছে ই-পাসপোর্ট থাকতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। যখন আওয়ামী লীগ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও সরকার গঠন করতে না দেওয়ার কারণেই আন্দোলন শুরু হয়। তারপর গণহত্যা শুরু হলেই স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। সুতরাং বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য। দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। এ দেশের প্রতিটি মানুষের রক্তে এসব মিশে আছে, তাই আমাদের দেশ নিয়ে অন্যদের মাতবরি দরকার নেই, উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক।
ড. মোমেন বলেন, তবে আমরা এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য এবং ইনক্লুসিভ হবে। সবাইকে নিয়েই নির্বাচন হবে, যারা আসবে আর আমার দল বিশ্বাস করে আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দিব এই স্লোগানকে। অন্যরা মাতবরি করতে পারেন তাদের উচিত আমাদের অনুসরণ করা। আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসে। কোনোদিন কোনো কারসাজি করে কিংবা মিলিটারি এসে ক্ষমতা দিয়ে যায়নি। সুতরাং এসব নিয়ে তারা যে বিভিন্ন সময় সন্দেহ পোষণ করেন তারা আসলে ইতিহাস জানেন না, ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করছেন না বলেই অনেক সময় অনেক অবান্তর বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, আমি আশা করছি তারা আমাদের ইতিহাস পড়ুক, আমাদের চলার পথ অনুসরণ করুক তাহলেই বুঝতে পারবে এ দেশটি গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু।
আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষকরা সুযোগ পাবেন কিনা- জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করতে পারে, বাংলাদেশে গোপন করার কিছু নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.