হাজীগঞ্জ বাজারে চুরির শিকার হয়ে টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার হারাচ্ছেন নারীরা। আর চুরি করছেনও নারীরা। এদের ধরতে বা সনাক্তকরণে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে যান কোজ-সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) দেখার জন্য, কিন্তু নেকাব ও বোরকা পরার কারণে তারা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকেন।
এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষন করে চোর ধরার জন্য চেষ্টা করেন। অবশেষে তারা সফল হন। সোমবার (৩০ জানুয়ারী) হাজীগঞ্জ বাজার থেকে এক নারী চোর এবং পরে পুলিশের সহায়তায় অপর এক নারী চোরসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃত দুই নারী চোর হলেন, চাঁদপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীরামদী এলাকার রেলওয়ে কাঁচা কলোনীর মুহাম্মদ ফয়সাল হোসাইন বাবুর স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী (২৭) ও একই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ওয়ারলেস এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার (২৫)।
ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে মহিলা ছিনতাইকারীর (চোর) কবলে পড়ে অনেক সাধারণ মহিলা নিঃস্ব হয়েছেন। অনেক মহিলা ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে এসে সিসিটিভির ফুটেজ দেখার জন্য কান্নাকাটি করে। এর মধ্যে কারো ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত টাকা, কারো মোবাইল, কারো গলার চেইন নিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের সনাক্ত করা সম্ভব হয় না, আবার সনাক্ত করা গেলেও আটক করা সম্ভব হয় না।
তাই, নারী চোরদের আটকের জন্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সিসিটিভির ফুটেজ ও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষণ শুরু করে। অবশেষে আজ স্টেশন রোডের সম্মুখ থেকে হাতে-নাতে এক নারী চোরকে ধরেন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এরপর পুলিশের সহায়তায় আরো এক নারী চোরকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন জানান, ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের বহু চেষ্টার পর দুই নারী চোরকে হাতে-নাতে আটক করতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী সমিতি দুই নারী চোরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করবে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, আটক দুই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.