অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
অমর একুশে বই মেলা ২০২৩ শুরু কাল। বিকাল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা একাডেমি নতুন ৭টি বই মেলার প্রথম দিনই প্রকাশ করবে। সেগুলোর মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার বইমেলার স্লোগান-‘পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। মেলার আঙ্গিকে এবার কিছু পরিবর্তন আসছে। বইয়ের সব প্যাভিলিয়ন-স্টল একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল অংশে থাকবে। আর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের অংশে থাকবে খাবারের দোকান, নামাজের স্থান ও টয়লেট। কোনো অবস্থায়ই মেলার অংশে খাবারের দোকান করতে দেওয়া হবে না।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা? তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির পরিচালক ও বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কেএম মুজাহিদুল ইসলাম, জনসংযোগ-তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক সমীর কুমার সরকার, বইমেলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশের সিএমও মীর নহবত আলী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান ক্রসওয়ার্ক কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মারুফ।
মুজাহিদুল ইসলাম জানান, এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়।
একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। লিটলম্যাগ চত্বরে ঠাঁই পাবে ১৫৩টি স্টল।
উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি ঘোষিত সাহিত্য পুরস্কারও প্রদান করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
এবার বইমেলায় নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ১৩৬টি বই প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি। এর মধ্যে প্রথম দিন ‘শেখ মুজিবুর রহমান রচনাবলি’, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী-পাঠ বিশ্লেষণ’, ‘আমার দেখা নয়াচীন-পাঠ বিশ্লেষণ’, ‘কারাগারের রোজনামচা-পাঠ বিশ্লেষণ’, হাসান আজিজুল হকের ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’-এর ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য লেটার অব সাবিত্রী’-এর মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলা একাডেমি থেকে এবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আত্মজীবনী ‘আমার জীবন, আমার রাজনীতি’ প্রকাশিত হবে, যার মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী?
ছুটির দিন ব্যতীত মেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে দর্শক, ক্রেতা, পাঠকদের রাত সাড়ে ৮টার পর মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ছুটির দিনে বইমেলা বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে? একুশে ফেব্রুয়ারি মেলার দুয়ার খুলবে সকাল ৮টায়?
মহাপরিচালক নূরুল হুদা বলেন, হয়তো আগামী দিনে সোহরাওয়ার্দীতে আমরা বইমেলা আয়োজন করতে পারব না? তখন অন্য জায়গা খুঁজতে হবে?
এবার বইমেলার আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উলটো দিকে অর্থাৎ মন্দির গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসাবে ব্যবহৃত হবে। গতবারের প্রবেশপথটি বাহির পথ হিসাবে চিহ্নিত থাকবে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে আরও ৩টি প্রবেশ ও বাহির পথ থাকবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বইমেলায় পাইরেসি বড় ইস্যু। অনেক সময় দেখা যায়, একই বিষয় নিয়ে ১০-১২টা বই মেলায় চলে আসে। বিশেষ করে অনূদিত বইগুলোর বিষয়ে লেখক-প্রকাশকরা তো মূল প্রকাশক বা লেখকের অনুমতি নেন না? এসব বিষয়ে টাস্কফোর্স কাজ করছে। তবে বলতে হয়, ভালো লেখা, নির্ভুল সম্পাদনার বই এখনো কম। এদিকে লেখক, প্রকাশকের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
বইমেলার প্রবেশ ও বাহির পথে পর্যাপ্তসংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.