হাজীগঞ্জের সুহিলপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কাজলের হাতে অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন। হামলা গুরুতর আহত হয়ে বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ডাক্তারের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন আহত আমির হোসেন। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে অভিযুক্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কাজলের হাতে আরো ৩ জন গুরুতর হয়েছেন। তারাও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় সুহিলপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এবং পরে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম কাজলের দোকানে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে রড ও কোদালের ডাট দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকেসহ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
আহতরা হলেন, আমির হোসেনের ভাগিনা জাহিদ হোসেন (২৫) ও কর্মচারি রাকিব (২৪)। ঘটনার দিনই ২ জনকে অভিযুক্ত করে আহত আমির হোসেন বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার কয়েক দিন পূর্বে খাকবাড়িয়া বকাউল বাড়ির নুরুল ইসলামের সাথে তার ছেলের নতুন বিল্ডিং ভবনের দরজা ও গ্রীলের কাজ নিয়ে কথা বলেন। পরে জাহাঙ্গীর আলম কাজল আমির হোসেনকে কাজ না দেওয়ার জন্য ওই ভবন মালিককে নিষেধ করেন। ঘটনার দিন আহত আমির হোসেন কাজলের পিতাকে বিষয়টি অবহিত করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে কাজল ও তার পিতা রুহুল আমিন আহত আমির হোসেনের দোকানে গিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে তিনিসহ আরো ২ জন গুরতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান
প্রত্যাক্ষদর্শী আমির হোসেনের ভাগিনা রাকিব বলেন, মামাকে মারধর করলে আমি তাদের হাত থেকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাকে মারধর করে। এতে আমার চোখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
এ প্রসঙ্গে আমির হোসেন বলেন, পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিল্ডিং ভবনের দরজা ও গ্রীলের কাজের কথা বলি। আমাকে কাজ দিতে ভবন মালিককে নিষেধ করে। বিষয়টি তার পিতা রুহুল আমিনকে জানাই। ঘটনার দিনকাজল ও তার পিতা রুহুল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হামলা চালায়। এছাড়াও তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অযুহাতে এলাকার লোকদের মারধর এবং হুমকি ধমকি দেন।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম কাজলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা (এএসআই) গোলাম ছামদানী মুঠোফোনে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.