একমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভয়াবহ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন নৌ-পরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), প্রকল্পের পরিচালক ও কোরিয়ান ঠিকাদার।
একপক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, শক্তি প্রয়োগ, নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, দায়িত্বে গাফিলতি, আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অভিযোগও করছেন।
ওইসব অভিযোগ নিয়ে দফায় দফায় ‘সালিশি বৈঠক’ করেও সুরাহা করতে পারছে না নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চলতি মাসে নৌসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুরাহার অনুরোধ জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, এটাকে বায়ুযুদ্ধ বলতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। রীতিমতো প্রকাশ্যে মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছেন তিনপক্ষ। আলোচিত এ প্রকল্পটি হচ্ছে- এস্টাব্লিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস)। এটি লাইট হাউজ বা বাতিঘর প্রকল্প হিসাবে পরিচিত। যুগান্তরের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রকল্প নিয়ে তিন পক্ষ হচ্ছেন-নৌপরিবহণ অধিদদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মো. নিজামুল হক, প্রকল্প পরিচালক আবু সাইদ মোহাম্মদ দেলোয়ার রহমান ও কোরিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এলজি-সামী কন্সট্রাকশন। তিন পক্ষই যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে নিজ নিজ পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করার কথা স্বীকারও করেন। তাদের নিজেদের অভিযোগ সঠিক বলেও দাবি করেন। একই সঙ্গে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি কমেছে বলেও জানান।
প্রকল্পের এমন পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতও এসেছিলেন। আমরা প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক করেছি। অভিযোগ নিয়ে উদ্ভ‚ত সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে যেসব সুপারিশ করেছে তা অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এমন কিছু কার্যক্রম চালিয়েছেন যা অনেক সময়ে তার দায়িত্ব-কর্তব্যকে ছাড়িয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নৌপরিবহণ মন্ত্রনালয় ও নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, অনিয়ম ও অবস্থাপনার কারণে এ প্রকল্পটি শেষ করার আগেই পরিত্যক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। অনেক চেষ্টার পর প্রকল্পের গতি আনা হয়েছে। ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাশ করানো হয়। এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে পুরো প্রকল্পটি অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে। তারা জানান, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্ব›দ্ব শুরু হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তারাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, সমুদ্রে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজের দিকনির্দেশনা ও নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্প শুরু হয়। প্রকল্পের আওতায় দেশের উপক‚লীয় এলাকায় সাতটি বাতিঘর (লাইট হাউজ) ও রেডিও স্টেশন স্থাপন এবং ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ১১তলা বিশিষ্ট কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপনের কথা। এ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তখন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৩৭০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে কোরিয়ার ঋণ সহায়তা ৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলার যা বাংলাদেশের ২৯২ কোটি ১২ লাখ টাকা। শুরু থেকে নানা জটিলতা, অনিয়ম, অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ব, দুবার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে তিন দফায় মেয়াদ ও ব্যয় দুই-ই বেড়েছে। সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি প্রকল্প সংশোধনের পর ব্যয় দাঁড়িয়েছে বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৭৭৯ কোটি ৪৯ লাখ। মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী জুনে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৭ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি ৫১ শতাংশ। আবারও প্রকল্পের ব্যয় ৩৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। মেয়াদ ও ব্যয় আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন পক্ষ দীর্ঘদিন মুখোমুখি অবস্থান করলেও গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আরও দৃশ্যপটে চলে আসে। ওইদিন নৌপরিবহণ অধিদদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. নিজামুল হক তার লিখিত বক্তব্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সামী কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ আনেন। প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতা এবং এ কারণে অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য এ প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন। এ ছাড়া অভিযোগের মধ্যে প্রকল্পের টাকা আ ত্মসাৎ, কাজের চেয়ে অতিরিক্ত বিল দাবি, ফায়ার সার্ভিসের সিল ও স্ট্যাম্প জাল করে নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার এবং ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ আনেন। এক পর্যায়ে চিঠিতে উলেখ করেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি দিয়ে তদন্ত ছাড়া কাজ অব্যাহত রাখলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অসম্ভব হবে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আ ত্মসাৎ বন্ধ করা সম্ভব হবে না। ওই বক্তব্য তিনি নৌসচিব মো. মোস্তফা কামালের কাছে পাঠিয়েছেন।
অপরদিকে একই দিন নৌসচিবকে দেওয়া আরেক চিঠিতে প্রকল্প পরিচালক থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন ওই সংস্থারই নটিক্যাল সার্ভেয়ার ও এক্সামিনার ক্যাপ্টেন আবু সাইদ মোহাম্মদ দেলোয়ার রহমান। ওই চিঠিতে অব্যাহতি চাওয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, সামী কন্সট্রাকশনের সঙ্গে নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গভীর মতপার্থক্যের দারুণ এই প্রকল্পের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও মহাপরিচালক প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
এই দুই চিঠির আগে চলতি মাসেই নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. নিজামুল হকের বিরুদ্ধে সাত-আটটি গুরুতর অভিযোগসহ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় সামী কন্সট্রাকশন। তার বিরুদ্ধে সাড়ে ৬ কোটি টাকার বিলাসবহুল নির্মাণ সামগ্রী জোরপূর্বক লাগাতে বাধ্য করারও অভিযোগ করে। এতে বলা হয়, তাদের কাজের অধিক্ষেত্রে মহাপরিচালক প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই জোরপূর্বক সাব কন্ট্রাকটর ও সাপ্লাইয়ার মনোনীত করে দিচ্ছেন। ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ১১তলা ভবনের লিফট ও সাবস্টেশন কাজে তার পরিচিত ব্যক্তিদের দিয়ে লাগাতে চাপ দিয়েছেন। ওই ভবনের ৫-১১ তলা পর্যন্ত কাজ তার পরিচিত প্রতিষ্ঠান (বাগদাদ এন্টারপ্রাইজকে) দিতে বাধ্য করেছেন। কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন (কক্সবাজার) ও নিঝুম দ্বীপেও (নোয়াখালী) এ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। অপরদিকে কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) সাইটে মেসার্স সাকিব পোলট্রি অ্যান্ড ফিড সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠানকে পূর্ত কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে ফেলতে বাধ্য করারও অভিযোগ করা হয়। কোরিয়ার এ প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু স্থির ও ভিডিও চিত্র নৌমন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। ওই সব চিত্রে কমোডর মো. নিজামুল হককে সাইট অফিসে গিয়ে প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উচ্চস্বরে কথা বলতে দেখা গেছে। এমনকি তার কার্যালয়েও এমন আচরণের ভিডিও রেকর্ড দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
দফায় দফায় বৈঠক : উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি নিয়ে নৌমন্ত্রণালয়ে কয়েক দফায় বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। গত ২ এপ্রিল নৌসচিবের সভাপতিত্বে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে স্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রকল্প পরিচালক আবু সাইদ মোহাম্মদ দেলোয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। ওই অভিযোগের জবাব দিতে প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর গত ১৮ এপ্রিল নৌমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে প্রকল্পের চারজন কর্মকর্তা, প্রকল্প পরিচালক এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মুখ্য দুই কর্মকর্তা ক্যাসপার কিম ও হা তায়ুক অংশ নেন। সেখানে প্রকল্পের ওপর মহাপরিচালকের হস্তক্ষেপ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। যদিও এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও জটিলতার সমাধান হয়নি।
প্রকল্পের দুই কর্মকর্তা ভিসা নিয়ে প্রশ্ন : এ প্রকল্পের কোরিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সামী কন্সট্রাকশনের দুই মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাসপার কিম ও হা তায়ুককে অব্যাহতি দিয়ে গত ১০ এপ্রিল সতর্ককরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে নৌপরিবহণ অধিদপ্তর। এর আগে সংস্থাটির মহাপরিচালক কমোডর মো. নিজামুল হক এক চিঠিতে ওই দুই কর্মকর্তা প্রকৌশলী নন এবং তারা মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসায় বাংলাদেশে অবস্থান করছেন জানিয়ে তাদেরকে এদেশ সরিয়ে নিতে সামী কন্সট্রাকশনের পরিচালককে চিঠি দেন। একই চিঠি দেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে। গত ১৩ এপ্রিল পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানায়, কিম ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি ভিসার জন্য আবেদন করেন কিন্তু তিনি ভিসা গ্রহণ করেননি। হা তায়ুককে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তারা দুজনেই দেশত্যাগ না করে বিনা ভিসায় অবস্থান করছেন। তাদেরকে পাসপোর্টসহ সশরীরে হাজির করতে পুলিশের বিশেষ শাখাকে বলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাসপার কিম বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দুজন কোরিয়ান নাগরিক (ক্যাসপার কিম ও হা তায়ুক) বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাদের আগামী আগস্ট পর্যন্ত বৈধ ভিসা রয়েছে।
যা বললেন তিন পক্ষ : প্রকল্পের অচলাবস্থা নিয়ে তিন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন এ প্রতিবেদক। মুখোমুখি অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে কমোডর মো. নিজামুল হক বলেন, প্রকল্পের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুবই কম লোকবল নিয়ে কাজ করছে। এর ফলে কাজ বিলম্বিত হচ্ছে, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে। সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক তার মতো করে কাজ করছেন। সংস্থা প্রধান হিসাবে আমার নির্দেশনা মানছেন না। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে আমি কিছু প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণকাজে সহায়তা করার জন্য বলেছি। অপরদিকে প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন আবু সাইদ মোহাম্মদ দেলোয়ার রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার লিখিত জবাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এর বেশি কিছু মন্তব্য করতে চাই না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাসপার কিম বলেন, আমরা মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করছি। সরবরাহকারী কোনো নি ম্ন মানের সামগ্রী নিয়ে এলে তা ফেরত দিচ্ছি। তবে কক্সবাজারে আমরা মান ধরে রাখতে পারিনি। এর কারণ হচ্ছে, মহাপরিচালকের লোকজন ওইসব সামগ্রী সরবরাহ করেছে এবং তাদের শ্রমিকরা কাজ করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.