গত ৪৫ বছর ধরে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন মাদরাসায় চাকরি এবং বাকিলা পূর্ব বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করলেন, মাওলানা আবুল খায়ের মো. রুহুল আমিন। ইমামতিকালে তিনি কত-শত মানুষের জানাযা পড়িয়েছেন। রোববার (২৮ মে) তাঁর জানাযায় শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবকসহ কয়েক শতাধীক (সহস্রাধীক) মুসুল্লী উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় তাঁকে বিদায় জানায়।
শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাওলানা আবুল খায়ের মো. রুহুল আমিন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি ও নাতনীসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি হাজীগঞ্জের একাধিক মাদরাসায় চাকরি করেন। সবশেষ বাকিলা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার থেকে তিনি সহকারী মৌলভী পদে অবসরজনিত বিদায় নেন।
এদিন বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর জানাযা পূর্বে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটোয়ারী, মান্দারী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. নেছার আহমেদ, উচ্চগাঁ দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট (সুপার) মাওলানা আবু তাহেরসহ নিহতের ছেলে ও জামাতাসহ অন্যান্যরা।
জানাযার ইমামতি করেন, বাকিলা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. ওমর ফারুক। এ সময় বাকিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বোরখাল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান লিটন, বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান, মনিহার মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট (সুপার) মাওলানা নাজির আহম্মদসহ কয়েক শতাধীক মুসুল্লী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার বেলা ১২টার দিকে মাওলানা আবুল খায়ের মো. রুহুল আমিনের মরদেহ তাঁর শেষ কর্মস্থল বাকিলা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা ও বাকিলা পূর্ব বাজার জামে মসজিদের সামনে আনা হয়। এসময় শিক্ষক, ছাত্র ও মসজিদের মুসুল্লীদের মাঝে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এরপর চাঁদপুর সদর উপজেলার কামরাঙ্গা মিজি বাড়িতে মাওলানা আবুল খায়ের মো. রুহুল আমিনের দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.