হাজীগঞ্জ বাজারের আবাসিক হোটেলগুলো যেনো অনৈতিক কাজের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। পুলিশের তাদরকির পরেও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব অবৈধ ব্যবসা। বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় হোটেলের রুম ভাড়া নিয়ে চলছে এসব অনৈতিক কাজ। পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে এসব হোটেল থেকে আটক করছে অনেককে। আবার এমন ঘটনা ঘটছে হোটেল ম্যানেজম্যান্ট জানার পরেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব হোটেল রুম ভাড়া দিচ্ছে কথিত স্বামী-স্ত্রীকে।
ফলে যুবসমাজ ও কলেজপড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে চিন্তত হয়ে পড়ছে স্থানীয়রা। পুলিশ প্রশাসন কিছু ঘটনা জানলেও বেশীর ভাগই থেকে যাচ্ছে চোখের আড়ালে।
শনিবার বিকেলে হাজীগঞ্জের মধ্য বাজার রেডিসন হোটেলে এক গৃহবধুর মোবাইল আটকিয়ে তাকে ওই হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে উচ্চঙ্গা গ্রামের নন্দী বাড়ীর সমির নন্দীর ছেলে হৃদয় নন্দী। এ সময় হোটেল থেকে বের হয়ে চিৎকার দিলে গৃহবধুর চিৎকারে আশে-পাশের মানুষ এসে হৃদয়কে আটক করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ শনিবার বিকেলে ওই যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
তবে আটক হৃদয় নন্দী জানান, এ গৃহবধুকে আমি চিনিনা। বড়কুলের মোবাইল মেকানিক অপু ওই গৃহবধুর মোবাইল আটকিয়ে তাকে হোটেল থেকে নিতে বললে ওই মহিলা হোটেলে আসে পরে আমাকে হোটেল রুমের বাহিরে রেখে অপু রুমের ভেতরে ওই মহিলাকে নিয়ে ডুকে। মহিলা হোটেলের রুম থেকে চিৎকার দিলে অপু কৌশলে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও প্রেমিক প্রেমিকাকে হোটেলে কথা বলার জন্য আশ্রয় দিয়ে ও লোভ দেখিয়ে লোকজনকে হোটেলে নিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে আটক বাণিজ্যসহ অসামাজিক কাজ করাতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে এসব হোটেল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
জানাযায়, এর পূর্বেও আল আমিন হোটেল, কোহিনুর হোটেল ও মাতৃছায়া গেস্ট হাউজ এন্ড আবাসিক হোটেল থেকে অবৈধ কার্যকলাপের দায়ে কয়েকজনকে আটক করেছিল থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আ. রশিদ বলেন, আমরা প্রায়ই হোটেলে অভিযান চালাচ্ছি। শুধু অভিযোগ পেলেই নয়, বিভিন্ন হোটেলে নিয়মিতই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে এলাকার সচেতনমহল এসব অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের আরো জোরালো ভূমিকা নেয়ার দাবী জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মহিউদ্দিন আল আজাদ, ই-মেইল: trenadinews@gmail.com, মোবাইল-০১৭১৭-৯৯২০০৯
Copyright © 2024 সাপ্তাহিক ত্রিনদী. All rights reserved.