হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ খোরশেদ আলম নিয়মিত অফিসে অনুপস্থিত থেকেও মাসের পর মাস সরকারি বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগে এলাকায় তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রামে বসবাস করলেও মাসে একদিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে পুরো মাসের হাজিরা নিশ্চিত করতেন তিনি। অথচ কর্মস্থল হাজীগঞ্জের অফিসে তাকে পাওয়া যেত না দীর্ঘদিন।
এই অনিয়মের বিষয়টি দীর্ঘদিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, এর জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলি। তার দায়িত্বই ছিল খাদ্য পরিদর্শকের হাজিরা তদারকি করা এবং নিয়মিত অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করা। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব পালন না করে অবহেলা করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বিস্ময়কর হলেও সত্য সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই খাদ্য নিয়ন্ত্রককেই তিন দিনের মধ্যে সরজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, “যিনি নিজেই দায়িত্ব অবহেলায় দায়ী, তিনি আবার কীভাবে সেই অবহেলার তদন্ত করবেন?”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইবনে আল যায়েদ হোসেন প্রহসনের তদন্ত কমিটি গঠন করে খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ খোরশেদ আলমকে বাঁচানোর চেস্টার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সচেতন মহল বলছে, এটি আসলে প্রশাসনিক প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। একজন অভিযুক্ত কর্মকর্তাকেই তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে প্রকৃত সত্য আড়াল করার চেষ্টা চলছে। তারা মনে করেন, খাদ্য পরিদর্শকের অনুপস্থিতি এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অবহেলা দুটিই প্রশাসনিক শৃঙ্খলার জন্য হুমকি।
তাদের দাবি, অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।