ঢাকা 11:27 pm, Monday, 15 September 2025

বিছানায় পড়ে ছিলো মা ও ছেলের লাশ, ফ্যানে জুলছিলো বাবা

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:46:12 pm, Monday, 15 September 2025
  • 13 Time View

ছবি-সংগৃহিত।

নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল বউবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী, স্ত্রী ও চার বছরের সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকেলে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতরা হলেন- হাবিবুল্লাহ শিপলু, তাঁর স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম ও ছেলে আফরান। শিপলুর বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন এলাকায়।

পুলিশ জানায়, বউবাজারে পলাশ মিয়ার সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় তারা ভাড়া থাকতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের বড় ভাই অলিউল্লাহ লাভলুর বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) তারেক আল মেহেদী বলেন, মা ও সন্তানের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ছিল। শিপলুকে অন্য কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তিনি একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিল। সমিতির মালিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরে গ্রাহকরা মালিক ও তার বিরুদ্ধে মামলা করে। সে থেকে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে হতাশাগ্রস্ত থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ

বিছানায় পড়ে ছিলো মা ও ছেলের লাশ, ফ্যানে জুলছিলো বাবা

Update Time : 09:46:12 pm, Monday, 15 September 2025

নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল বউবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী, স্ত্রী ও চার বছরের সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকেলে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতরা হলেন- হাবিবুল্লাহ শিপলু, তাঁর স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম ও ছেলে আফরান। শিপলুর বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন এলাকায়।

পুলিশ জানায়, বউবাজারে পলাশ মিয়ার সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় তারা ভাড়া থাকতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের বড় ভাই অলিউল্লাহ লাভলুর বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) তারেক আল মেহেদী বলেন, মা ও সন্তানের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ছিল। শিপলুকে অন্য কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তিনি একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিল। সমিতির মালিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরে গ্রাহকরা মালিক ও তার বিরুদ্ধে মামলা করে। সে থেকে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে হতাশাগ্রস্ত থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।