হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় শানাই ও ঢাকির ঢাকের শব্দে উৎসবের আমেজ শুরু হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ৮’টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট ৭৫’টি মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিমা মাটির প্রল্পের কাজ শেষ। বাকি আছে শুধু রং-তুলির আঁচড়ের কাজ। প্রতীমাগুলোতে রংয়ের আঁচড় পরলেই দৃষ্টিনন্দন আকর্ষন ফুটে উঠবে। পুরোহিত অনুপ চন্দ্র বলেন, এবছর পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯’টায় মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে মহা দুর্গোৎসব। বাঙালি হিন্দু সস্প্রদায়ের কাছে এহচ্ছে দুর্গা দেবীর আগমনী বার্তা।
এবার দেবী দূর্গা গজে আগমন করবেন এবং ২’অক্টোবর বিজয়া দশমীতে পালকীতে করে গমন করবেন। এ লক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজারী ও ভক্তরা তাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে দেবী দূর্গা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা কমিটির সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ সরকার বাপ্পী বলেন, আসন্ন দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে প্রত্যেকটি পূজা মন্দিরে স্থানীয় ভাবে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবছর দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি বাবু পরমেশ্বর মাহাতো জানান, উপজেলায় ৭৫টি পূজা মন্ডবে এবছর দূর্গাপুজার প্রস্তুতি চলছে। এরমধ্যে পৌরসভায় ১৫টি, বাগজানা ইউনিয়নে ৭টি, ধরঞ্জী ইউনিয়নে ১৪টি, আয়মারসুলপুর ইউনিয়নে ১০টি, বালিঘাটা ইউনিয়নে ৬টি, আটাপুর ইউনিয়নে ৯টি, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে ৩টি, কুসুম্বা ইউনিয়নে ৮টি ও আওলাই ইউনিয়নের ৩টি মন্দিরে দূর্গা পূজার আয়োজন চলছে।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মইনুল ইসলাম বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পুজা নির্বিঘ্নে পালনের লক্ষ্যে থানা পুলিশ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে সকল পূজা কমিটির লোকজনের সাথে কথা বলেছি। পূজা চলাকালীন সকল মন্ডপে নজরদারি সহ সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি মহোদয়।