ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর-আল আমিন একাডেমি বাবুরহাট ক্যাম্পাসের নতুন ভবন উদ্বোধন

‘অর্থ লোপাট করে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার স্বপ্ন ভেঙেছে দীপু মনির ভাই’

চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-আমিন একাডেমি স্কুল এণ্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মোবারক হোসাইন বলেছেন, পান্ডে থাকা সকল অর্থ লোপাট করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে পতিত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার ভাই ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু। তাদের এ ধরণের অন্যায়ের কারণে অনেক পিছিয়ে গেছে আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ বাবুরহাট ক্যাম্পাস। এক একর সম্পত্তিতে সোসাইটির নিজস্ব অর্থায়নে এই ক্যাম্পস গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর করার জন্য এই স্থানটি খুবই চমৎকার পরিবেশ।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে শহরের বাবুরহাট পুলিশ লাইন্সের পিছনে আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ বাবুরহাট ক্যাম্পাসে নতুন ভবন উদ্বোধন, বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৪৮ বছরে শিক্ষকসহ সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমে আল-আমিন একাডেমির আজকের এই অবস্থান। তার ধারাবাহিকতায় এই ক্যাম্পাস। এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম দেশজুড়ে। সরকারি অনেক কর্মকর্তা এসে বলে আমি এই স্কুলের ছাত্র। তখন আমরা খুবই গর্বিত হই। আমরা একটি লক্ষ্য নিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। যেন এখান থেকে নৈতিক শিক্ষা পেয়ে একজন শিক্ষার্থী সুনাগরিক হয়ে উঠবে। শুধুমাত্র সার্টিফিকেট অর্জন নয়, তাদের যেন সমাজ ও দেশের জন্য দায়বদ্ধতা থাকে।

এই শিক্ষাবিদ বলেন, আপনারা দেখেন দেশের যে শিক্ষা ব্যবস্থা তাতে একজন সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জন করে চাকরি পাচ্ছে না। কিছুদিন আগে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করে জানতে পেরেছি দেশে এক কোটি ত্রিশ লাখ বেকার যুবক মানসিক রোগে আক্রান্ত। এর কারণ হচ্ছে তার সার্টিফিকেট আছে কিন্তু কাজ না থাকায় পারিবারিক ও সমাজিকভাবে চাপে পড়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মানসিক রোগী তৈরি করছে। তবে আমরা এমনভাবে শিক্ষার্থীদের তৈরী করার চেষ্টা করছি, যাতে একজন শিক্ষার্থী পরিবার ও সমাজের জন্য কাজে লাগবে।

তিনি বলেন, আমি পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পর এই প্রতিষ্ঠানের নামে আলাদা একাউন্ট তৈরী করেছি কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও তার ভাই ৭ বছরের মধ্যে সকল অর্থ লোপাট করে নিয়েগেছে। যে কারণে আমাদের স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হয়ে উঠেনা। এই প্রতিষ্ঠানকে তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা আবারো শুরু করতে পেরেছি।

আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী ও আল-আমিন সোসাইটির সদস্য আব্দুল মালেক পাটোয়ারী।

আল-আমিন একাডেমি গুনরাজদী ক্যাম্পাসের ইনচার্জ নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অভিভাকদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা ও গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি কাজী রাসেল।

বক্তব্য শেষে ক্যাম্পাসের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পরে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথি এবং শিক্ষকরা নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করে দোয়া করেন। এরপর নতুন ক্যাম্পাসের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গাছের চারা রোপন করেন সভাপতিসহ শিক্ষকরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আল-আমিন একাডেমি স্কুল এণ্ড কলেজের প্রধান ক্যাম্পাস, ছাত্রী শাখা, গুনরাজদী ক্যাম্পারে সকল পর্যায়ের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শাহরাস্তিতে বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ

চাঁদপুর-আল আমিন একাডেমি বাবুরহাট ক্যাম্পাসের নতুন ভবন উদ্বোধন

‘অর্থ লোপাট করে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার স্বপ্ন ভেঙেছে দীপু মনির ভাই’

Update Time : ০৮:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-আমিন একাডেমি স্কুল এণ্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মোবারক হোসাইন বলেছেন, পান্ডে থাকা সকল অর্থ লোপাট করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে পতিত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার ভাই ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু। তাদের এ ধরণের অন্যায়ের কারণে অনেক পিছিয়ে গেছে আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ বাবুরহাট ক্যাম্পাস। এক একর সম্পত্তিতে সোসাইটির নিজস্ব অর্থায়নে এই ক্যাম্পস গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর করার জন্য এই স্থানটি খুবই চমৎকার পরিবেশ।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে শহরের বাবুরহাট পুলিশ লাইন্সের পিছনে আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ বাবুরহাট ক্যাম্পাসে নতুন ভবন উদ্বোধন, বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৪৮ বছরে শিক্ষকসহ সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমে আল-আমিন একাডেমির আজকের এই অবস্থান। তার ধারাবাহিকতায় এই ক্যাম্পাস। এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম দেশজুড়ে। সরকারি অনেক কর্মকর্তা এসে বলে আমি এই স্কুলের ছাত্র। তখন আমরা খুবই গর্বিত হই। আমরা একটি লক্ষ্য নিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। যেন এখান থেকে নৈতিক শিক্ষা পেয়ে একজন শিক্ষার্থী সুনাগরিক হয়ে উঠবে। শুধুমাত্র সার্টিফিকেট অর্জন নয়, তাদের যেন সমাজ ও দেশের জন্য দায়বদ্ধতা থাকে।

এই শিক্ষাবিদ বলেন, আপনারা দেখেন দেশের যে শিক্ষা ব্যবস্থা তাতে একজন সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জন করে চাকরি পাচ্ছে না। কিছুদিন আগে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করে জানতে পেরেছি দেশে এক কোটি ত্রিশ লাখ বেকার যুবক মানসিক রোগে আক্রান্ত। এর কারণ হচ্ছে তার সার্টিফিকেট আছে কিন্তু কাজ না থাকায় পারিবারিক ও সমাজিকভাবে চাপে পড়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মানসিক রোগী তৈরি করছে। তবে আমরা এমনভাবে শিক্ষার্থীদের তৈরী করার চেষ্টা করছি, যাতে একজন শিক্ষার্থী পরিবার ও সমাজের জন্য কাজে লাগবে।

তিনি বলেন, আমি পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পর এই প্রতিষ্ঠানের নামে আলাদা একাউন্ট তৈরী করেছি কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও তার ভাই ৭ বছরের মধ্যে সকল অর্থ লোপাট করে নিয়েগেছে। যে কারণে আমাদের স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হয়ে উঠেনা। এই প্রতিষ্ঠানকে তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা আবারো শুরু করতে পেরেছি।

আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী ও আল-আমিন সোসাইটির সদস্য আব্দুল মালেক পাটোয়ারী।

আল-আমিন একাডেমি গুনরাজদী ক্যাম্পাসের ইনচার্জ নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অভিভাকদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা ও গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি কাজী রাসেল।

বক্তব্য শেষে ক্যাম্পাসের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পরে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথি এবং শিক্ষকরা নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করে দোয়া করেন। এরপর নতুন ক্যাম্পাসের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গাছের চারা রোপন করেন সভাপতিসহ শিক্ষকরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আল-আমিন একাডেমি স্কুল এণ্ড কলেজের প্রধান ক্যাম্পাস, ছাত্রী শাখা, গুনরাজদী ক্যাম্পারে সকল পর্যায়ের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।