চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুর কাশেমিয়া আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক তালহা খানকে শোকজ করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গাউছুল আজম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত তালহা খান ওই মাদ্রাসায় আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার রবিদাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তালহা খান ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্মীপুর কাশেমিয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি বিবাহিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে তার সঙ্গে মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের নজরে এলে গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান মাদ্রাসাশিক্ষক তালহা খান।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। পরে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর কাশেমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল খায়ের মো. রুহুল আমিন বলেন, ঘটনার পর গত ১৪ ডিসেম্বর ডাকযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একজন বিবাহিত শিক্ষক হয়ে শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গাউছুল আজম বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের শোকজের বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ 






















