নিজস্ব প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-কচুয়া সড়কে বেপরোয়া বালু পরিবহনের কারণে সড়কের পেভমেন্ট ও সোল্ডার ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি পরিবেশ ও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন মানুষেরা। সাথে সড়কে ও সড়কের পাশে বালু পড়ে থাকার কারণে বাড়ছে দূর্ঘটনা।
দেখা গেছে, সড়কে দিনরাত ভটভটি (হ্যান্ড ট্রাক্টর), পিকআপ (মিনি ট্রাক), ট্রাক ও ১০ চাকার ডাম্পারে করে প্রতিদিন বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ গাড়িতে অতিরিক্ত বালু লোড করা থাকে। আবার লোডকৃত বালুবাহী গাড়িগুলোতে ত্রিপালের ব্যবহার নামে মাত্র বা লোক দেখানো।
এই অতিরিক্ত লোড ও নামে মাত্র ত্রিপালের ব্যবহারের কারণে বালু ওড়ে মানুষের চোখে-মুখে এবং সড়কে পড়ছে। এতে পেভমেন্ট ও সোল্ডারসহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক এবং পরিবেশ ও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন মানুষেরা। আবার সড়কে ও সড়কের পাশে বালুর স্তর পড়ে বাড়ছে দূর্ঘটনা।
আর এভাবেই দিনের পর দিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে বেপরোয়াভাবে চলছে বালু পরিবহন। কিন্তু আজ পর্যন্ত, কাউকেই কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় নি। তাই সচেতনমহলের প্রশ্ন, নিয়ন্ত্রণ করবে কে…?
উল্লেখ্য, এমন চিত্র শুধুমাত্র হাজীগঞ্জে নয়, পুরো চাঁদপুরের সব উপজেলায় রয়েছে।
ক্যাপশন : কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ড এলাকার শৈলখালী ব্রীজের (কালাপুল) মাঝখানে এবং ব্রীজ ও সড়কের দুই পাশে বালুর স্তর পড়েছে।