মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
সৌদিআরবে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল কাদের প্রধানীয়া (৩৫) নামের এক রেমিটেন্স যোদ্ধা মারা গেছেন। প্রায় তিন মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৌদিআরবের আবহা শহরের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত আব্দুল কাদের প্রধানীয়া হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের তারাপাল্লা গ্রামের পশ্চিম পাড়া আলাউদ্দিন প্রধানীয়া বাড়ির মো. মফিজুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, পরিবারের স্বচ্ছলতার আশায় ও জীবিকার তাগিদে ১৬ মাস পূর্বে ধার-দেনা (ঋণ) করে সৌদিআরবের আবহা প্রদেশে পাড়ি জমান আব্দুল কাদের প্রধানীয়া। তিনি সেখানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
গত তিন মাস পূর্বে তিনি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এরপর থেকে তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল কাদের প্রধানীয়া।
নিহতের ভাতিজা আবু বকর ও চাচাতো ভাই ওমর ফারুক জানান, মৃত্যুকালে আব্দুল কাদের প্রধানীয়া বাবা, মা, স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান রেখে গেছেন। এর মধ্যে বড় ছেলে মেহেদী হাছানের বয়স মাত্র ৭ বছর, বড় মেয়ে মরিয়ম আক্তার ৫ বছর ও ছোট মেয়ে মেহেরিন আক্তারের বয়স ১ বছর।
প্রবাসে যাওয়ার সময় যেই ঋণ করে গেছেন, তা এখনো পরিশোধ হয়নি। এখন তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে কি করবেন তাঁর স্ত্রী এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারা।
এদিকে পরিবারের লোকজন ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া নিহত আব্দুল কাদের প্রধানীয়ার মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
এসময় নিহতের পরিবারের প্রতি আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ও এলাকাবাসী সরকার, জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান। তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, কাদেরের রেখে যাওয়া তিন শিশু সন্তানকে কিভাবে লালন-পালন করবেন তার স্ত্রী?