দোয়া ও কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন, আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে আছর নামাজ আদায় শেষে হযরত আহমাদ আলী পাটওয়ারী (র.) সহ মসজিদ কমপ্লেক্স শায়িত কবর ও সাবেক সাংসদ মরহুম আব্দুর রবের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর গণসংযোগ শুরু করেছেন।
একই দিনে তিনি হযরত মাদ্দাহ খাঁ (রহ.) মাজার জেয়ারত করেন এবং মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন। এ দিকে গণসংযোগের প্রথম দিনে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনের উদ্যোগে ও সভাপতিত্বে পৌর মেয়রের বাড়িতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে হলে মান-অভিমান ভুলে থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যে দল ধারন করে আমরা সে দলের (আওয়ামী লীগ) সদস্য। এখানে মান-অভিমান কেন..?
তিনি বলেন, আমরা এসেছি সেবা করতে, তাই সেবা করে যাচ্ছি। যাদের অন্য উদ্দেশ্য থাকে, জনগণের সম্পদ চুষে খায়, তাদের রাজনীতি করার দরকার নেই।
আমি কাজের লোক কাজ করি। যদি আপনাদের সাথে আড্ডা ও গল্প করি তাহলে কাজ করবো কিভাবে ? যদি গল্প করতাম, তাহলে আমার নির্বাচনী এলাকায় (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) ডাকাতিয়া নদীতে ১০টা সেতু ও শত শত ব্রিজ-কালভার্ট, শত-শত কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ, শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পারতাম না। তাই, মান-অভিমানের সাথে আমাকে জড়াবেন না।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোন দল বা প্রার্থী নেই উল্লেখে করে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, আপনারা দেখেছেন আজকে দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেকে দল ও জনপ্রিয় ব্যক্তিরা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। কারণ, নৌকা একটি জনপ্রিয় প্রতীক। যা ১৯৪৮ সাল থেকে দেশ ও জাতী এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে আওয়ামী লীগ। সে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই আমরা উন্নয়নের শিখরে উঠতে শিখেছি। তাই নৌকার বিকল্প নেই।
সভায় আরো বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন মজুমদার, সদস্য খালেদুর রব মিঠু, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন বতু, ইকবালুজ্জামান ফারুক, অধ্যাপক স্বপন কুমার পাল, সাবেক ছাত্রনেতা সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন, জেলা যুবলীগের সদস্য সোহাগ আহমেদ মাইনু, পৌর ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহআলম, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌসি বেগম প্রমুখ।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে হযরত আহমাদ আলী পাটওয়ারী (রহ.) সহ মসজিদ কমপ্লেক্স শায়িত কবর জিয়ারতে দোয়া ও মোনাজাত করেন, মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মো. আব্দুর রউফ এবং সাবেক সাংসদ মরহুম আব্দুর রবের কবর জিয়ারতে দোয়া ও মোনাজাত করেন, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ¦ মো. সেলিম।
পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান মুন্সীর উপস্থিতিতে সভায় পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম বেপারী, প্যানেল মেয়র-২ মো. আজাদ হোসেন, প্যানেল মেয়র-৩ রোকেয়া বেগম, কাউন্সিলর মাইনুদ্দিন মিয়াজী, আলাউদ্দিন মুন্সী, সুমন তপাদার, কাজী মনির হোসেন, হাজী কবির হোসেন কাজী, সাদেকুজ্জামান মুন্সী ও মো. শাহআলম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মমতাজ বেগম ও নাজমুন নাহার ঝুমু উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মো. বিল্লাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান জাহিদ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বিসহ পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।