ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরম বিটুমিনে ঝলসে যাওয়া ওকে এন্টারপ্রাইজের স্টাফের মিঠুর মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৫৬ Time View

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজীগঞ্জের মো. হানিফ হোসেন মিঠুর (২৪) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভাধীন টোরাগড় পূর্বপাড়া হাজী রহিম উদ্দিন জামে মসজিদে জানাযা শেষে তাকে নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এর আগে ৫ দিন পূর্বে দাউদকান্দিতে কাজ করা অবস্থায় গরম বিটুমিন পড়ে তার শরীর ঝলসে যায়। নিহত মো. হানিফ হোসেন মিঠু পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের আমজাদ আলী বেপারী বাড়ির মৃত মহরম আলী মরণের মেঝো ছেলে।

জানা গেছে, হাজীগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওকে এন্টার প্রাইজের স্টাফ হিসাবে কর্মরত ছিলো মো. হানিফ হোসেন মিঠু। দাউদকান্দিতে ওই প্রতিষ্ঠানের সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। গত রোববার কাজ করা অবস্থায় আগুনে গরম করা বিটুমিন উতলে উঠে মিঠুর মুখমণ্ডল ও শ^াসনালীসহ দুই হাত ঝলসে গুরুতর আহত হয়।

এসময় সাথে থাকা লোকজন মিঠুকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় রেপার করেন এবং ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ৫দিন পর মারা যান মিঠু।

এ দিকে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় মো. হানিফ হোসেন মিঠুর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং রাত সাড়ে ৯টায় টোরাগড় পূর্বপাড়া হাজী রহিম উদ্দিন জামে মসজিদে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার সদস্যসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত মো. হানিফ হোসেন মিঠুর স্ত্রী ও দুই বছর বয়সি কন্যা সন্তান রয়েছে। আহত অবস্থায় মিঠুর চিকিৎসার সকল খরচ ওকে এন্টার প্রাইজ বহন করেছে এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সহযোগিতার আশ^াস দেওয়া হয়েছে। তবে সংবাদকর্মীদের ফোন রিসিভ না করায় ওকে এন্টার প্রাইজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মিঠুর মৃত্যুতে তারা অবগত নন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন

গরম বিটুমিনে ঝলসে যাওয়া ওকে এন্টারপ্রাইজের স্টাফের মিঠুর মৃত্যু

Update Time : ১১:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজীগঞ্জের মো. হানিফ হোসেন মিঠুর (২৪) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভাধীন টোরাগড় পূর্বপাড়া হাজী রহিম উদ্দিন জামে মসজিদে জানাযা শেষে তাকে নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এর আগে ৫ দিন পূর্বে দাউদকান্দিতে কাজ করা অবস্থায় গরম বিটুমিন পড়ে তার শরীর ঝলসে যায়। নিহত মো. হানিফ হোসেন মিঠু পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের আমজাদ আলী বেপারী বাড়ির মৃত মহরম আলী মরণের মেঝো ছেলে।

জানা গেছে, হাজীগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওকে এন্টার প্রাইজের স্টাফ হিসাবে কর্মরত ছিলো মো. হানিফ হোসেন মিঠু। দাউদকান্দিতে ওই প্রতিষ্ঠানের সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। গত রোববার কাজ করা অবস্থায় আগুনে গরম করা বিটুমিন উতলে উঠে মিঠুর মুখমণ্ডল ও শ^াসনালীসহ দুই হাত ঝলসে গুরুতর আহত হয়।

এসময় সাথে থাকা লোকজন মিঠুকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় রেপার করেন এবং ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ৫দিন পর মারা যান মিঠু।

এ দিকে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় মো. হানিফ হোসেন মিঠুর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং রাত সাড়ে ৯টায় টোরাগড় পূর্বপাড়া হাজী রহিম উদ্দিন জামে মসজিদে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার সদস্যসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত মো. হানিফ হোসেন মিঠুর স্ত্রী ও দুই বছর বয়সি কন্যা সন্তান রয়েছে। আহত অবস্থায় মিঠুর চিকিৎসার সকল খরচ ওকে এন্টার প্রাইজ বহন করেছে এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সহযোগিতার আশ^াস দেওয়া হয়েছে। তবে সংবাদকর্মীদের ফোন রিসিভ না করায় ওকে এন্টার প্রাইজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মিঠুর মৃত্যুতে তারা অবগত নন।