দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) ত্রিমূখী লড়াইয়ের পরেও বিপুল ভোটে জয়ে হয়ে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাজিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
অনেক জ¦ল্পনা কল্পনা ছিলো এবার বুঝি নৌকা হারছে, তবে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেছে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিবাসি।
উৎসবমূখর পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৫টার পরেই বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নৌকা মার্কার বিজয়ী মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা উপজেলা চত্বরে আসতে থাবে। এ সময় নেতা-কর্মীদের মিছিলে মিছিলে পুরো উপজেলা চত্ত্বর উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম হাজীগঞ্জ উপজেলায় পেয়েছে ৩৭ হাজার ২শ ৮৭ ভোট এবং শাহরাস্তি উপজেলায় পেয়েছে ৪৫ হাজার ৯’শ ৪০ ভোট। দু’উপজেলা মিলে তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৩ হাজার ২’শ ২৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের গাজী মাঈনুদ্দীন হাজীগঞ্জে পেয়েছে ৩৬ হাজার ৩শ ১৮ ভোট এবং শাহরাস্তিতে পেয়েছে ২ হাজার ৩’শ ১৮ ভোট। দু’উপজেলা মিলে তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬’শ ৩৬। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতিকের শফিকুল আলম ফিরোজ হাজীগঞ্জে পেয়েছে ৫ হাজার ৭শ ৫৪ ভোট এবং শাহরাস্তিতে পেয়েছে ১৬ হাজার ৭’শ ৮১ ভোট। দু’উপজেলায় তিনি মোট ভোট পেয়েছে ২২ হাজার ৫’শ ৩৫।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদী চেয়ার প্রতিকে পেয়েছে ৭ হাজার ১শ ৪৪ ভোট, মুক্তিজোটের প্রার্থী আক্তার হোসেন ছড়ি প্রতিকে পেয়েছে ১৩৭, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী বাকী বিল্লা মিশকাত ফুলের মালা প্রতিকে, ৫শ ৫৬, জাসদের প্রার্থী মনির হোসেন মজুমদার মশাল প্রতিকে পেয়েছে ৩৮০ ভোট।
হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলা ১৫৩টি কেন্দ্রে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬১ ভোটের মধ্যে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯১ ভোট কাস্ট হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৬১৫ ভোট বৈধ ও ৩ হাজার ৮৭৬ ভোট বাতিল হয়। এর আগে রোববার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়।