ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বইমেলায় আশিক বিন রহিমের “সংগ্রামে-অর্জনে চাঁদপুরের নারীগণ”

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
  • ৮০ Time View

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হলো তরুণ লেখক আশিক বিন রহিমের গবেষণাগ্রন্থ ‘সংগ্রামে-অর্জনে চাঁদপুরের নারীগণ’। চাঁদপুরের কৃতি নারীদের আলোকিত জীবনাখ্যান নিয়ে রচিত গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে দেশ পাবলিকেশন্স। বইটির ভূমিকা লিখেছেন নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যপাক, কবি প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. সরকার আব্দুল মান্নান। ৯৬ পৃষ্ঠার এ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ইউনুছ নাঝিম। মূদ্রিত মূল্য ৩০০ টাকা।

সাম্প্রতিক কালে চাঁদপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্পচর্চা এবং কৃর্তিমান ভূমিসন্তানদের নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অসংখ্য গবেষণা কাজ হচ্ছে। সততার সঙ্গে যে কয়েকজন তরুণ অত্যন্ত পরিশ্রমলব্ধ এ গবেষণাকাজে আত্মনিয়োগ করেছেন, এদের মধ্যে অন্যতম আশিক বিন রহিম। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। ইতিপূর্বে চাঁদপুরের চাঁদমুখ নামে একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করে তিনি আলোচিত হয়ে উঠেছেন। সংগ্রামে-অর্জনে চাঁদপুরের নারীগণ তার ৫ম গ্রন্থ।

বইটির লেখক আশিক বিন রহিম বলেন, একুশ শতকে বাঙালী সমাজে সবচেয়ে বড় অর্জন নারী জাগরণ। এ অর্জনের প্রভাতফেরিতে পিছিয়ে ছিলেন না চাঁদপুরের নারীরাও। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। দুই বাংলার নারীজাগরণ, শিল্পচর্চা, শিক্ষা, বিজ্ঞান-গবেষণা, সাংবাদিকতা, রাজনীতি এবং সমাজবিনির্মাণে চাঁদপুরের অনেক চাঁদকন্যা স্বর্ণোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে স্বাধীকার অর্জনের সংগ্রামেও চাঁদপুরের নারীগণ অবদান রেখেছেন। যাঁদের স্লোগানে-হুংকারে কম্পিত হয়েছিল রাজপথ।

স্বীয় কর্মদ্যুতিতে তাঁরা নিজেদের আলোকিত করবার পাশাপাশি চাঁদপুরকে বাংলাদেশের সমৃদ্ধভূমিতে পরিণত করেছেন। এমন ১২জন আলোকিত নারীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোকপাত করার উদ্দেশ্যেই ‘সংগ্রামে অর্জনে চাঁদপুরের নারীগণ’ গ্রন্থটি প্রকাশের প্রয়াস। পাশাপাশি সমাজ বিনির্মাণে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে এখনো যাঁরা ভূমিকা রাখছেন, তাঁদের মধ্য থেকে ১২জন নারীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে দ্বিতীয় অধ্যায়ে।

উল্লেখ : যে ১২ জন মহীয়সী নারীকে নিয়ে এই গ্রন্থের নির্মাণ- তাঁরা হলেন, বাঙালি মুসলিম জমিদার ও দানশীল ব্যক্তিত্ব তহুরুন নেছা চৌধুরানী, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলপনাশিল্পী সুকুমারী দেবী, শান্তিনিকেতনের প্রথম শিল্প অধ্যাপিকা এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী চিত্রশিল্পী চিত্রনিভা চৌধুরী, উপমহাদেশের প্রথম নারী সাংবাদিক ও বিখ্যাত ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক নূরহাজান বেগম, রাজনীতিবিদ ও ভাষা সংগ্রামী আমেনা বেগম, দেশের অন্যতম প্রথম চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও ভাষা সংগ্রামী জহরত আরা খুকু, বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের প্রথম নারী সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, দেশে নারীদের মধ্যে প্রথম একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী ড. ফরিদা জামান, প্রথম নারী পুলিশ সুপার এবং নারী এআইজি রৌশন আরা বেগম, টানা চারবার নির্বাচিত সংসদ এবং নারী হিসেবে দেশের ৩টি মন্ত্রনালয়ের ৩বারের পূর্ণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করা কিংবদন্তি অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

বইমেলায় আশিক বিন রহিমের “সংগ্রামে-অর্জনে চাঁদপুরের নারীগণ”

Update Time : ১০:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হলো তরুণ লেখক আশিক বিন রহিমের গবেষণাগ্রন্থ ‘সংগ্রামে-অর্জনে চাঁদপুরের নারীগণ’। চাঁদপুরের কৃতি নারীদের আলোকিত জীবনাখ্যান নিয়ে রচিত গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে দেশ পাবলিকেশন্স। বইটির ভূমিকা লিখেছেন নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যপাক, কবি প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. সরকার আব্দুল মান্নান। ৯৬ পৃষ্ঠার এ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ইউনুছ নাঝিম। মূদ্রিত মূল্য ৩০০ টাকা।

সাম্প্রতিক কালে চাঁদপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্পচর্চা এবং কৃর্তিমান ভূমিসন্তানদের নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অসংখ্য গবেষণা কাজ হচ্ছে। সততার সঙ্গে যে কয়েকজন তরুণ অত্যন্ত পরিশ্রমলব্ধ এ গবেষণাকাজে আত্মনিয়োগ করেছেন, এদের মধ্যে অন্যতম আশিক বিন রহিম। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। ইতিপূর্বে চাঁদপুরের চাঁদমুখ নামে একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করে তিনি আলোচিত হয়ে উঠেছেন। সংগ্রামে-অর্জনে চাঁদপুরের নারীগণ তার ৫ম গ্রন্থ।

বইটির লেখক আশিক বিন রহিম বলেন, একুশ শতকে বাঙালী সমাজে সবচেয়ে বড় অর্জন নারী জাগরণ। এ অর্জনের প্রভাতফেরিতে পিছিয়ে ছিলেন না চাঁদপুরের নারীরাও। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। দুই বাংলার নারীজাগরণ, শিল্পচর্চা, শিক্ষা, বিজ্ঞান-গবেষণা, সাংবাদিকতা, রাজনীতি এবং সমাজবিনির্মাণে চাঁদপুরের অনেক চাঁদকন্যা স্বর্ণোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে স্বাধীকার অর্জনের সংগ্রামেও চাঁদপুরের নারীগণ অবদান রেখেছেন। যাঁদের স্লোগানে-হুংকারে কম্পিত হয়েছিল রাজপথ।

স্বীয় কর্মদ্যুতিতে তাঁরা নিজেদের আলোকিত করবার পাশাপাশি চাঁদপুরকে বাংলাদেশের সমৃদ্ধভূমিতে পরিণত করেছেন। এমন ১২জন আলোকিত নারীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোকপাত করার উদ্দেশ্যেই ‘সংগ্রামে অর্জনে চাঁদপুরের নারীগণ’ গ্রন্থটি প্রকাশের প্রয়াস। পাশাপাশি সমাজ বিনির্মাণে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে এখনো যাঁরা ভূমিকা রাখছেন, তাঁদের মধ্য থেকে ১২জন নারীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে দ্বিতীয় অধ্যায়ে।

উল্লেখ : যে ১২ জন মহীয়সী নারীকে নিয়ে এই গ্রন্থের নির্মাণ- তাঁরা হলেন, বাঙালি মুসলিম জমিদার ও দানশীল ব্যক্তিত্ব তহুরুন নেছা চৌধুরানী, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলপনাশিল্পী সুকুমারী দেবী, শান্তিনিকেতনের প্রথম শিল্প অধ্যাপিকা এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী চিত্রশিল্পী চিত্রনিভা চৌধুরী, উপমহাদেশের প্রথম নারী সাংবাদিক ও বিখ্যাত ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক নূরহাজান বেগম, রাজনীতিবিদ ও ভাষা সংগ্রামী আমেনা বেগম, দেশের অন্যতম প্রথম চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও ভাষা সংগ্রামী জহরত আরা খুকু, বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের প্রথম নারী সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, দেশে নারীদের মধ্যে প্রথম একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী ড. ফরিদা জামান, প্রথম নারী পুলিশ সুপার এবং নারী এআইজি রৌশন আরা বেগম, টানা চারবার নির্বাচিত সংসদ এবং নারী হিসেবে দেশের ৩টি মন্ত্রনালয়ের ৩বারের পূর্ণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করা কিংবদন্তি অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান।