অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি হিসেবে ১৭৫ রান তাড়া করা বর্তমানে সাধারণ একটা লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য তাড়া করতেই গুবলেট পাকিয়ে ফেলে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। একসময় ৩২ রানে স্বাগতিকরা হারায় ৬ উইকেট। নুয়ান তুশারার হ্যাটট্রিকে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। লঙ্কান এই পেসার তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকসহ ফাইফার।
বাংলাদেশ একশ’ করতে পারবে কিনা সেটা নিয়েই সংশয় ছিল। কিন্তু রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ ছক্কার পসরা সাজিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। প্রত্যাশিতভাবে হেরেছে বাংলাদেশ, কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও দারুণ লড়াইয়ে গ্যালারি মাতিয়েছে তারা। ২৮ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে ২-১ এ সিরিজ জিতলো শ্রীলঙ্কা।
তার ইয়র্কার লেন্থের বলই ভালোভাবে পড়তে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৪র্থ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয় এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট তুলে নিলেন পরপর তিন বলে। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
বাংলাদেশ যাদের ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো, ৪র্থ ওভারে পরপর তিন বলে তাদের উইকেট হারানোর পর সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। নুয়ান থুসারা শেষ পর্যন্ত ২০ রান দিয়ে নিলেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশের কোমর যেভাবে তিনি ভেঙে দিয়েছিলেন, সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি টাইগার ব্যাটাররা।
বরং, শঙ্কা ছিল টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন ৭০ রানের স্কোর পার হতে পারে কি না, তা নিয়েও। যদিও শেষ মুহূর্তে রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ ঝোড়ো ব্যাটিং করেছিলেন। রিশাদ ২৬ বলে করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু তার এই হাফ সেঞ্চুরি কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু। পরাজয় ঠেকাতে পারেনি।
বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হলো ১৯.৪ ওভারে ১৪৬ রানে। হার মানতে হলো ২৮ রানের ব্যবধানে।