• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ পোস্ট মাস্টার হলেন হাজীগঞ্জের খোরশেদ আলম ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে বিয়ে করবেন মডেল প্রিয়াঙ্কা হাজীগঞ্জে নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব হাজীগঞ্জের মনিনাগে সম্পতিগত বিরোধের জেরধরে হামলা, ৮জন আহত ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ মতলব উত্তরে ১০ম গ্রেডের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ শাহরাস্তিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে রবি শস্য বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ ॥ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা

তিস্তার গতিপথের বড় পরিবর্তন : দুশ্চিন্তায় ভারত

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪

ভারত-বাংলাদেশ ভূ-রাজনীতির বড় একটা নিয়ামক হয়ে আছে তিস্তার পানি বণ্টন। তিস্তার পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ভারত যে বাঁধ দিয়েছে, বছরের পর বছর তার খেসারত দিয়ে চলেছে এদেশের উত্তরের জনপদ। শুধু বাংলাদেশই নয়, এই নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বিবাদ রয়েছে ভারতেরই বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে। হড়পা বানে গত বছরের অক্টোবরে তিস্তার ভয়াবহ রূপ দেখেছিল সিকিম। তিস্তার বানে আগেও ভেসেছে এ রাজ্য ও তার আশপাশ। এরই মধ্যে ভারতের জন্য নতুন দুশ্চিন্তা হয়ে আবির্ভূত হয়ে তিস্তার গতিপথের বড় পরিবর্তন; যার ফলে বন্যার আগাম প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বিপত্তির মধ্যে পড়েছে দেশটির সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার তিস্তার বুকে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ক্রমেই বদলাচ্ছে নদীটির গতিপথ। ইতোমধ্যে একাধিক জায়গায় এ গতিপথ বদলে যাওয়া চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের জন্য। দেশটির সেচ দপ্তর বলছে, সামনে বর্ষা এলেই ফুঁসে উঠবে তিস্তা, তখন কোথায় কী হয় সেটা আগে থেকে আঁচ করা মুশকিল।

জানা গেছে, সম্প্রতি ভারতের রিভার রিসার্চ ইন্সটিটিউট নদীপথ নিয়ে সমীক্ষা করেছে। আপাতত সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে সেচ দপ্তর। কোথায় নদী কতটা সরে গেছে, কতটা কোথায় চওড়া হয়েছে, কোথায় কতটা সরু হয়েছে, সেসব ওই রিপোর্টে থাকবে। আর ওই অনুসারেই ব্যবস্থা নেবে সেচ দপ্তর। কারণ ওই অনুসারেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

প্রাথমিকভাবে ভারতের সেচ দপ্তর ২৮ কোটি টাকার কাজ শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় বন্যা রোধে স্পার তৈরি করতে হবে। তিস্তার পুরনো গতিপথ বদলে যাওয়ার কারণে নতুন নতুন জায়গায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এর আগেও উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে তিস্তার পানি প্রবাহের পথ বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। উপগ্রহের মাধ্যমে সেই ছবি ধরা পড়েছে। ছবিতে দেখা গিয়েছিল একাধিক জায়গায় তিস্তার গতিপথ বদলে গেছে।

আকস্মিক নদীর গতিপথ বদলের এমন চিত্র হতবাক করেছে সিকিম সরকার ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে। ইতোমধ্যেই বিষয়টি রাজ্য ও কেন্দ্রের নদীর সংক্রান্ত যে সমস্ত দপ্তরগুলো রয়েছে তাদের কাছে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ অক্টোবর অতিবৃষ্টিতে তিস্তা নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে ভেঙে যায় বাঁধ। তারপরেই তিস্তার ভয়াবহ হড়পা বানে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৭৭ জন নিখোঁজ হন। এছাড়া প্রায় ৮৮,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন সেবারের বন্যায়। ভেঙে পড়ে সিকিমের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০