• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ পোস্ট মাস্টার হলেন হাজীগঞ্জের খোরশেদ আলম ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে বিয়ে করবেন মডেল প্রিয়াঙ্কা হাজীগঞ্জে নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব হাজীগঞ্জের মনিনাগে সম্পতিগত বিরোধের জেরধরে হামলা, ৮জন আহত ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ মতলব উত্তরে ১০ম গ্রেডের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ শাহরাস্তিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে রবি শস্য বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ ॥ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা

রান্ধনীমূড়ায় আদালতের রায় পেয়ে ১২২ শতাংশ সম্পত্তি দখলে নিলেন বাদীপক্ষ

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪

আদালতের রায় পেয়ে এবং খারিজ-খতিয়ান সম্পন্ন করে ভূমি দখলে নিলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১০নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া এলাকার সৈয়দ মো. আব্দুল রাজ্জাক গং। গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে স্বজনদের সাথে নিয়ে তিনি ৯৫নং রান্ধুনীমূড়া মৌজার সিএস ৫০৬, আরএস ৪৯৯ এবং বিএস ১৪২৫নং খতিয়ানে বিভিন্ন হাল দাগে মোট ০.৯৪৮৯ একরসহ মোট ১২২ শতাংশ ভূমি নিজেদের দখলে নেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১২ মে চাঁদপুর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে দায়েরকৃত মোকাদ্দমার সূত্র ধরে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর বিচারক পারভেজ আহম্মেদ এ রায় প্রদান করেন। মোকাদ্দমার বিবাদীরা হলেন, ওই এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার গং। এছাড়াও মোকাদ্দমায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা মোকাবিলা বিবাদী হিসেবে ছিলেন।

জানা গেছে, আদালত কর্তৃক রায়ের পর উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো ও রান্ধুনীমূড়া মৌজার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন যাচাই করে প্রার্থীপক্ষের রায় ও ডিক্রিমূলে প্রাপ্ত ভূমিতে সরকারের কোন স্বত্ব ও স্বার্থ না থাকায় তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক বাদীর নামে পৃথক খতিয়ান রেকর্ড সংশোধনের আদেন দেন।

ওই আদেশের সূত্র ধরে ৯৫নং রান্ধুনীমূড়া মৌজার বিএস ১৪২৫ নং খতিয়ানে ২০৮৮ দাগে পুকুর ০.০৪৮৯ একর, বিএস ৭৯০নং খতিয়ানে ২০৮১ দাগে নাল ০.১১ একর, ২০৮৮ দাগে পুকুর ০.৫১ একর, বিএস ৩৭২নং খতিয়ানে ২০৮২নং দাগে নাল ০.২২ একর ও ২০৮৮নং দাগে ০.০৬ একর মোট ০.৯৪৮৯ একর ভূমি কর্তন করে বাদী পক্ষের নামে পৃথক খতিয়ান করা হয়।

এ বিষয়ে সৈয়দ আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে রাজু বলেন, দেলোয়ার হোসেন মজুমদার গংরা আমাদের সম্পত্তি জোরপূর্বকভাবে দখল ছিলেন। আমরা আপোস মিমাংসার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা সাড়া দেননি। যার ফলে আমরা বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা-মোকাদ্দমা করেছি এবং সেসব মোকাদ্দমার রায় আমাদের পক্ষে এসেছে।

এছাড়া তারা আমাদের বিরুদ্ধেও আদালতে একাধিক মামলা ও আবেদন করেছেন। যা আমাদের পক্ষে এসেছে। অর্থ্যাৎ বেশিরভাগ মামলা ও আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। অথচ এখন পর্যন্ত তারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তারপরও আমরা বলেছি, আপনারা দলিলপত্র নিয়ে আসেন, আমরা বসবো। কিন্তু তারা কখনোই কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। শুধু কাগজপত্র আছে বলে দিনের পর দিন সময়ক্ষেপন করে।

এ দিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে কথা হয় দেলোয়ার হোসেন মজুমদার গংদের একাধিক লোকজনের সাথে। ওই সময়ে তারা বলেন, আমাদের কাগজপত্র রয়েছে। তবে এই মূহুত্বে আমাদের সাথে নেই। সব কাগজপত্র আদালতে ও উকিলের (এ্যাডভোকেট) কাছে জমা আছে। কাগজপত্র এনে তাদের সাথে বসবো।

ওই সময়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, এই সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছে এবং অনেক দেন-দরবারও হয়েছে। কিন্তু আব্দুল রাজ্জাক গংয়ের লোকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাগজপত্র (দলিল ও খতিয়ান) দেখালেও দেলোয়ার হোসেন গংয়ের লোকজন কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০