‘জিংক সমৃদ্ধ ধান ক্রয় করতে হবে, আর ক্রয় করবে সরকারের খাদ্য বিভাগ’ এমনি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বায়োফার্টিফাইড ধান সংগ্রহ এবং সামাজিক সুরক্ষায় জলবায়ু বান্ধব মসুর ডাল ও চালের ভূমিকা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে কর্মশালার আয়োজন করে চাঁদপুর জেলা খাদ্য বিভাগ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, বাজারে এখন কাটিং চাল বিক্রি হচ্ছে। এসব চালে পুষ্টিগুন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই। যে কারণে আমাদের ৪০ ভাগ শিশু, গর্ভবতী মা সহ অনেকেই জিংকের অভাবে অপুষ্টিতে ভোগেন। প্রতিদিন একজন ব্যাক্তি কমপক্ষে ৪০০গ্রাম ভাত খাই। এসব খাদ্য জিংক সমৃদ্ধ হতে হবে। সেটি নিয়ে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ‘বঙ্গবন্ধু ধান-১০০’ জিংক সমৃদ্ধ করেছি। আগামীতে ‘১০৩’ ধানে ভিটামিন ‘এ’ জিংক সমৃদ্ধ করা হবে। আগামীতে সরকার যে চাল বিতরণ করবে, তাতে জিংক সমৃদ্ধ করা হবে। খাদ্য বিভাগে জিংক সমৃদ্ধ ধান সংগ্রহে আমাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে পারবে। আমরা চাষীদের তালিকা দিতে পারব।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুস শাহাদাত ফাহিম ও সুমাইয়া ফারজানা হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম।
কর্মশালার সহযোগিতা ছিলেন গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রোভড নিউট্রিশন (গেইন)। চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শ্যাম প্রসাদ চাকমার সভাপতিত্বে সংস্থাটির পক্ষে বিষয়ের ওপর প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন সংস্থার প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম ফারুকী।
কর্মশালা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কৃষক ও বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।