শিরোনাম:
অশ্লিল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবি, অপহরণকারী নারী সদস্য গ্রেপ্তার শাহারাস্তিতে বেলুন উড়িয়ে তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধন হাজীগঞ্জে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত মালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রাজকীয় বিদায় হাজীগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হাজীগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালি চাঁদপুরে জেলা বিএনপি সভাপতিসহ ৫৯ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি বড়কুল রামকানাই উবি’র বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও মেধা পুরস্কার বিতরণ মাসব্যাপী তারুণ্যের উদযাপনে উৎসব পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান, ঋণের চেক বিতরণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান মতলব উত্তরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া অ্যাসিডে দগ্ধ হওয়ার ১০ মাস পর এক গৃহবধূর মৃত্যু

এবার সাদিক এগ্রোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

ছাগলকাণ্ডে ফেঁসে যাওয়া এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের পাশাপাশি অলোচিত সাদিক এগ্রোর বিরুদ্ধে এবার অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এগ্রো প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে আজ সোমবার (১ জুলাই)। অভিযান চলাকালে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হাতে এসেছে দুদকের।

সোমবারের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ডা. মনিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০২১ সালে ১৮টি আমেরিকান ব্রাহামা জাতের গরু বাংলাদেশে এনে তোলপাড় সৃষ্টি করেন ইমরান হোসেন। কিন্তু ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ থাকায় সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে ঢাকা কাস্টমস। গরুগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা হয়। পরে রহস্যজনকভাবে গরুগুলো চলে যায় ইমরানের সাদিক এগ্রোতে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, গরুগুলো ফ্রিজিয়ান জাতের বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমদানি করেছিলেন সাদিক এগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. ইমরান হোসেন। বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মাংস বিক্রির শর্তে ব্রাহমা জাতের গরুগুলোকে কৌশলে নিলামে তুলে সাদিক এগ্রোতে নিয়ে যান ইমরান। নিলামে বিক্রি হওয়া গরুগুলো জবাই করে সেই মাংস ঈদুল ফিতরের সময় সুলভ মূল্যে বিক্রির কথা থাকলেও তা করেনি তিনি। পরিবর্তে কম দামী গরুর মাংস বিক্রি করেন এবং ব্রাহমা জাতের সেই গরুগুলো উচ্চ বংশের গরু বলে কোটি টাকা দাম হাঁকেন।

একইভাবে যশোর থেকে সংগ্রহ করা একটি ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকান ইমরান হোসেন। পরে মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এ তরুণ ওই ছাগলটি ১২ লাখ টাকায় কিনে নিলে সামনে চলে আসে তার বাবা মতিউর রহমানের নাম, যিনি রাজস্ব বোর্ডের উচ্চপদস্ত একজন কর্মকর্তা। সঙ্গে বের হয়ে আসে তার নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে গড়া অবৈধ সম্পদের পাহাড়ের খবরও। এরই মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় সাদিক এগ্রোর স্বত্তাধিকারী ইমরান হোসেন এবং তার উচ্চবংশীয় পশুর খামার নিয়েও।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নীতিমালার আলোকে যেসব গরুর জাত পালনের অনুমতি আছে, সেখানে ব্রাহমা জাতের কোনো অনুমোদন নেই। ফলে এই জাত পালনের কোনো অনুমোদন আমরা দিইনি। কিন্তু অবৈধভাবে আনা ব্রাহমা গরুগুলো ছিল প্রজনন অনুপযোগী। ফলে নিয়ম অনুসারে এসব প্রজনন অনুপযোগী গরু খামারিদের সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কোনো ব্যক্তিকে দেওয়া হয়নি। কিন্তু ইমরান কৌশলে এসব গরু নিজের নামে নিয়ে নিয়েছেন। তার ওপর শর্তানুযায়ী এসব গরুর মাংস বিক্রি না করে কোরবানীর পশু হিসেবে বাজারেও বিক্রি করেছেন। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে প্রকাশ্যে ইমরান এই ব্রাহমা জাতীয় নিষিদ্ধ গরু উঠিয়েছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১