ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হতাহতের ঘটনায় মর্মাহত প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • ৬৫ Time View

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হতাহতের ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে এতগুলো প্রাণ ঝরে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

কোটা ইস্যুতে কোনো ঘাটতি রাখেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কারের ইস্যুতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার৷ সব দাবি তো মানাই হলো৷ তারপরও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে যা যা ঘটেছে, এত প্রাণ যাবে এটা ভাবতেও পারিনি।

আমার দিক থেকে কোটা ইস্যুতে কোনো ঘাটতি রাখিনি ৷ যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি৷ স্থাপনা হয়তো পুনর্নির্মাণ করা যাবে, ফিরে পাওয়া যাবে, কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেল, তারা তো আর ফিরবে না।-যোগ করেন সরকারপ্রধান।

আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে কী অর্জন করল এমন প্রশ্ন রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি জানি না অপরাধটা কী আমাদের। যে ইস্যুটা নেই সেটা নিয়ে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে কে কী অর্জন করল সেটাই আমার প্রশ্ন। সেখানে এতগুলো তাজাপ্রাণ ঝরে গেল। সেগুলোতো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মানের সাথে দেখে। সেই বাংলাদেশে আবার রক্ত ঝরবে, কেন এই রক্ত ঝরা।

কোটা আন্দোলন ঘিরে ধ্বংসাত্মক কাজ করে দেশের অর্থনীতি ও ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নত করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছি, আর সেটা আমি সফলভাবে করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদা কেন নষ্ট করা হলো সেটার বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি বারবার দেশকে পিছিয়ে দিতে চক্রান্ত করছে। অনুষ্ঠানে মৎস্যখাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দেন শেখ হাসিনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়া পৌরসভার কোয়া নূর ই মদিনা জামে মসজিদের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হতাহতের ঘটনায় মর্মাহত প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৪:৪৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হতাহতের ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে এতগুলো প্রাণ ঝরে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

কোটা ইস্যুতে কোনো ঘাটতি রাখেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কারের ইস্যুতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার৷ সব দাবি তো মানাই হলো৷ তারপরও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে যা যা ঘটেছে, এত প্রাণ যাবে এটা ভাবতেও পারিনি।

আমার দিক থেকে কোটা ইস্যুতে কোনো ঘাটতি রাখিনি ৷ যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি৷ স্থাপনা হয়তো পুনর্নির্মাণ করা যাবে, ফিরে পাওয়া যাবে, কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেল, তারা তো আর ফিরবে না।-যোগ করেন সরকারপ্রধান।

আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে কী অর্জন করল এমন প্রশ্ন রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি জানি না অপরাধটা কী আমাদের। যে ইস্যুটা নেই সেটা নিয়ে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে কে কী অর্জন করল সেটাই আমার প্রশ্ন। সেখানে এতগুলো তাজাপ্রাণ ঝরে গেল। সেগুলোতো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মানের সাথে দেখে। সেই বাংলাদেশে আবার রক্ত ঝরবে, কেন এই রক্ত ঝরা।

কোটা আন্দোলন ঘিরে ধ্বংসাত্মক কাজ করে দেশের অর্থনীতি ও ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নত করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছি, আর সেটা আমি সফলভাবে করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদা কেন নষ্ট করা হলো সেটার বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি বারবার দেশকে পিছিয়ে দিতে চক্রান্ত করছে। অনুষ্ঠানে মৎস্যখাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দেন শেখ হাসিনা।