চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল যেন দালালের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দালাল চক্ররা অসহায় রোগীদের ধোকা দিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতে নিচ্ছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা বেশ কয়েকবার দালালদের ধরেছে।
তেমনি বুধবার সদর হাসপাতালে সরকারি ঔষধ নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে তিন নারী দালালকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়ার নির্দেশে এসআই গাজী কালাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সদর হাসপাতালে গিয়ে তিন নারী দালালে আটক করে।
পরে নারী দালাল আটক এর ঘটনা জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল ইমরান হাসপাতালে এসে নারী দালালদের দালালির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা প্রমাণ পেয়ে তাদেরকে সাজা দেয়।
এদের মধ্যে আটক নারী দালাল ইসরাত ও খাদিজাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নাসিমাকে তিনদিনের কারাদণ্ড প্রদান করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে দালাল মুক্ত করার জন্য এর পূর্বেও হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ নায়ক শফিক সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বেশ কয়েকবার দালালদের ধরেছে। তারপরেও নারী দালাল চক্র হাসপাতালে তৎপর হয়ে অসহায় রোগীদের ধোঁকা দিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
হাসপাতাল থেকে দালালমুক্ত করার জন্য দায়িত্ব থাকা তত্ত্বাবধায়ক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগী রোগীরা।
এই বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা জানান, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বেশ কয়েকজন ডাক্তার রয়েছে তারা দালালদের ব্যবহার করে সুবিধা নিচ্ছে। এবং কিছু অসাধু ডাক্তার ও নার্স তারা দালালদের মাধ্যমে সরকারি ঔষধ অন্যত্রে পাচার করছে। এছাড়া এ সকল দালালরা বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তারদের ভিজিটিং কার্ড নিয়ে এসে রোগীদের ধোকা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের সামনে যে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো রয়েছে সেগুলোর মালিকপক্ষ এ সকল নারী দালালদের ব্যবহার করে সুবিধা নিচ্ছে। এই সরকারি হাসপাতাল থেকে দালাল মুক্ত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিনজনকে সাজা প্রদান করার পর তাদেরকে মডেল থানার এসআই গাজী কালাম তিন দালালকে আটক করে জেলা কারাগারে নিয়ে হস্তান্তর করে।