ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে ২ সন্তানের জননীকে নিয়ে উধাও মামা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • ১২৪ Time View

ছবি-সংগৃহিত।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নিশান নামের এক ব্যক্তি। মামা পরিচয়ে নিয়মিত যাতায়াতের সুযোগে গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পর্ক এবং একপর্যায়ে দুই সন্তানের জননী জায়েদা আক্তার নিশিকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের নদোনা গ্রামের আমির বাড়িতে। জানা যায়, কাতারপ্রবাসী নজরুল ইসলাম সোহাগ ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে তার চাচাতো বোন জায়েদা আক্তার নিশিকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। সব কিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল।

কিন্তু কিছুদিন আগে সন্তানদের পড়ালেখার অজুহাতে নিশি চাঁদপুর শহরে বাসা ভাড়া নেন। এরপর থেকে দূর সম্পর্কের মামা পরিচয়ে তাদের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন পাশের কাঁশারা গ্রামের সাইফুল ইসলাম নিশান নামের এক ব্যক্তি। সবার অগোচরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে অনৈতিক সম্পর্ক। একপর্যায়ে নিশি স্বামীকে তালাক না দিয়েই নিশানের সঙ্গে কোর্ট ম্যারেজ করেন এবং সংসার শুরু করেন।

ঘটনার চূড়ান্ত মোড় নেয় ১২ মে ২০২৫ তারিখে। ওইদিন কাতারে অবস্থানরত নজরুল ইসলাম সোহাগকে সাইফুল ইসলাম নিশান হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানান, তিনি নিশিকে বিয়ে করেছেন এবং আর সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নন। তিনি আরও পাঠান তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি ও কাবিননামার কপি।
পরবর্তীতে নজরুল ইসলাম সোহাগের বাবা মফিজুল ইসলাম চাঁদপুর শহরের ভাড়া বাসায় গেলে দেখেন বাসা তালাবদ্ধ। অনুসন্ধানে জানা যায়, নিশি নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা ও প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সোহাগের বাবা। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিশি ও নিশানের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। বর্তমানে সাইফুল ইসলাম নিশান কৌশলে সৌদি আরবে পালিয়ে গেছেন এবং জায়েদা আক্তার নিশিও আত্মগোপনে রয়েছেন।

স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নিশানের গ্রামের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শাহরাস্তিতে বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ

ফরিদগঞ্জে ২ সন্তানের জননীকে নিয়ে উধাও মামা

Update Time : ১১:৪৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নিশান নামের এক ব্যক্তি। মামা পরিচয়ে নিয়মিত যাতায়াতের সুযোগে গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পর্ক এবং একপর্যায়ে দুই সন্তানের জননী জায়েদা আক্তার নিশিকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের নদোনা গ্রামের আমির বাড়িতে। জানা যায়, কাতারপ্রবাসী নজরুল ইসলাম সোহাগ ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে তার চাচাতো বোন জায়েদা আক্তার নিশিকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। সব কিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল।

কিন্তু কিছুদিন আগে সন্তানদের পড়ালেখার অজুহাতে নিশি চাঁদপুর শহরে বাসা ভাড়া নেন। এরপর থেকে দূর সম্পর্কের মামা পরিচয়ে তাদের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন পাশের কাঁশারা গ্রামের সাইফুল ইসলাম নিশান নামের এক ব্যক্তি। সবার অগোচরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে অনৈতিক সম্পর্ক। একপর্যায়ে নিশি স্বামীকে তালাক না দিয়েই নিশানের সঙ্গে কোর্ট ম্যারেজ করেন এবং সংসার শুরু করেন।

ঘটনার চূড়ান্ত মোড় নেয় ১২ মে ২০২৫ তারিখে। ওইদিন কাতারে অবস্থানরত নজরুল ইসলাম সোহাগকে সাইফুল ইসলাম নিশান হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানান, তিনি নিশিকে বিয়ে করেছেন এবং আর সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নন। তিনি আরও পাঠান তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি ও কাবিননামার কপি।
পরবর্তীতে নজরুল ইসলাম সোহাগের বাবা মফিজুল ইসলাম চাঁদপুর শহরের ভাড়া বাসায় গেলে দেখেন বাসা তালাবদ্ধ। অনুসন্ধানে জানা যায়, নিশি নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা ও প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সোহাগের বাবা। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিশি ও নিশানের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। বর্তমানে সাইফুল ইসলাম নিশান কৌশলে সৌদি আরবে পালিয়ে গেছেন এবং জায়েদা আক্তার নিশিও আত্মগোপনে রয়েছেন।

স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নিশানের গ্রামের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”