রান্না করা তরকারির স্বাদ না হওয়ায় স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনকে গালাগালি ও মারধর করেন স্বামী মো. আকাশ হোসেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে বাধা দেন স্বামী এবং আবারও মারধর করেন। পরে ঝর্ণা খাতুন ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) নওগাঁ জেলার বদলগাছীর জগদীশপুর গ্রামে স্বামীর নির্যাতনের কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাবারের জন্য বসেন। সেই সময় ঝর্ণার স্বামী মো. আকাশ হোসেন তরকারির স্বাদ না হওয়ায় স্ত্রীকে গালাগালি ও মারধর করেন। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ঝর্ণা বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাবার বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেসময় স্বামী তাকে বাধা দেন এবং পুনরায় মারধর করেন। এ দিন সকাল ৬টার দিকে নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগান ঝর্ণা। পরে তার স্বামী ও শাশুড়ি পেয়ারা বেগম ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর পৌনে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ঝর্ণাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর স্বামী ও শাশুড়ি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আকাশ হোসেন প্রায়ই স্ত্রীকে অকারণে মারধর করতেন এবং প্রতিবাদ করলে অন্যদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করতেন। এতে কেউ ঝর্ণাকে রক্ষা করার সাহস পেত না।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত চলছে।