শাহরাস্তিতে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারকে আট মাস ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে সহোদর ভাই-বোনের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাদিয়া গ্রামের মিনার খাঁ বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়ির মৃত আ. জব্বারের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে আট মাস আগে মেঝো ছেলে আ. মমিনের বসতঘরের সামনে ছোট ভাই আ. জসিম ঘর তুলে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেন। এতে চলাচলের পাশাপাশি পানি নিষ্কাশনও বন্ধ হয়ে যায়।
এ ছাড়া মমিনের পয়ঃনিষ্কাশন পাইপ ও সেপটিক ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত করায় তার পরিবার মারাত্মক দূষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এরই মধ্যে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে আ. মমিনের স্ত্রী রুনা আক্তার উক্ত ঘটনা নিয়ে হামলার স্বীকার হন। রুনা আক্তার বুধবার রাতে শাহরাস্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রুনা আক্তার জানান, তার দেবর আ. জসিম তার স্বামী ও ছেলের অনুপস্থিতিতে বসতবাড়িতে প্রবেশ করে তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও মারধর করে। এতে তিনি আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
আ. মমিন বলেন, “আমার ভাই আ. জসিম ও বোন ঝর্ণা আক্তার পরিকল্পিতভাবে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এলাকাবাসী সমাধানের চেষ্টা করলেও তাদের অসহযোগিতার কারণে বিষয়টি নিষ্পত্তি হচ্ছে না।”
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নিতে গেলে ঝর্ণা আক্তার দুর্ব্যবহার করে সাংবাদিকদের তাদের সীমানায় প্রবেশের অনুমতি দেন নি। বিরোধপূর্ণ জায়গার ছবি তুলতে গেলে তারা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
মো. জহিরুল হক বিএসসি জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা সম্পত্তি পরিমাপ করেছি কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। আমি সভাপতি হিসেবে উক্ত ঘটনার সমাধানের জন্য গাজী ফিরোজ কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেই।এরমধ্যেই হামলা ও আহতের ঘটনা দুঃখজনক।
শাহরাস্তি থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।