ঢাকা 5:44 pm, Monday, 13 October 2025

হাজীগঞ্জে অন্যের মামলায় সহযোগিতা করায় বসতঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

হাজীগঞ্জে অন্যের মামলায় সহযোগিতা করার কারণে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বসতঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে বাকিলা মহেশপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত মিজানুর রহমান ওই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম মিজির ছেলে।
মিজানুর রহমান সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাতিজা মুরাদ মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগে আমি সহযোগিতা করার কারণে সে আমার ঘরে আগুন দিয়েছে এবং ওই দিন রাতে সে আমাকে ফোনে হুমতি-ধমকি দেয়।
ক্ষতিগ্রস্থ মিজান জানান, প্রায় রাতে গাছ বেয়ে আমার প্রবাসী এক ভাইযের বাড়ির ছাঁদে উঠে মুরাদ তার সঙ্গী নিয়ে মাদক সেবন করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সেই ভাইয়ের স্ত্রীকে মুরাদ তার সঙ্গীদের নিয়ে মারধর করে। যে কারনে ভাবী গত ৭ অক্টোবর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
তিনি বলেন, আগুনে আমার তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়। যে ঘরে আগুন লেগেছে, ওই ঘরে বৈদ্যুতিক সংযোগ নাই যে, আগুন লাগবে। অভিযোগ পত্রে মুরাদের সাথে একই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মারুফ হোসেনকেও বিবাদী করা হয়।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেন মুরাদ। তিনি ওই এলাকার মৃত মমিন মিজির ছেলে। তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে।
মুরাদের নামে অভিযোগকারী মুরাদের চাচী সেই নারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) গনমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজী হননি। এসব লিখে কি লাভ বলে তিনি স্থান ত্যাগ করেন।
বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন বলেন, আগুন লাগার খবর শুনে আমি ওই বাড়িতে গিয়েছি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে। আর আগুনের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জে পৌর তিনটি ওয়ার্ডে তরুণ ভোটারদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা

হাজীগঞ্জে অন্যের মামলায় সহযোগিতা করায় বসতঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

Update Time : 10:52:23 pm, Wednesday, 8 October 2025
হাজীগঞ্জে অন্যের মামলায় সহযোগিতা করার কারণে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বসতঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে বাকিলা মহেশপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত মিজানুর রহমান ওই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম মিজির ছেলে।
মিজানুর রহমান সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাতিজা মুরাদ মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগে আমি সহযোগিতা করার কারণে সে আমার ঘরে আগুন দিয়েছে এবং ওই দিন রাতে সে আমাকে ফোনে হুমতি-ধমকি দেয়।
ক্ষতিগ্রস্থ মিজান জানান, প্রায় রাতে গাছ বেয়ে আমার প্রবাসী এক ভাইযের বাড়ির ছাঁদে উঠে মুরাদ তার সঙ্গী নিয়ে মাদক সেবন করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সেই ভাইয়ের স্ত্রীকে মুরাদ তার সঙ্গীদের নিয়ে মারধর করে। যে কারনে ভাবী গত ৭ অক্টোবর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
তিনি বলেন, আগুনে আমার তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়। যে ঘরে আগুন লেগেছে, ওই ঘরে বৈদ্যুতিক সংযোগ নাই যে, আগুন লাগবে। অভিযোগ পত্রে মুরাদের সাথে একই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মারুফ হোসেনকেও বিবাদী করা হয়।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেন মুরাদ। তিনি ওই এলাকার মৃত মমিন মিজির ছেলে। তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে।
মুরাদের নামে অভিযোগকারী মুরাদের চাচী সেই নারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) গনমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজী হননি। এসব লিখে কি লাভ বলে তিনি স্থান ত্যাগ করেন।
বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন বলেন, আগুন লাগার খবর শুনে আমি ওই বাড়িতে গিয়েছি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে। আর আগুনের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।