কচুয়ায় মাহমুদা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ স্বামী পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে গ্যাস ট্যাবলেট (ইদুর মারা ঔষধ) খেয়ে আত্মহত্যা অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা মিয়াজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। মাহমুদা আক্তার ওই গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে, স্বামী ইসরাফিল আলম মতলব দক্ষিণ উপজেলার হরিদাসপাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে।
নিহতের বাবা আবুল কালাম জানান, ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে মাহমুদা আক্তার ও ইসরাফিল আলমের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকে মাহমুদা ও ইসরাফিল আলমের সাথে পারিবারিক কলহের জের শুরু হয়। তার মাঝে তাদের ঘরে দুটি কন্যা সন্তান জম্ম নেয়। তার পর মাহমুদার উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। এর ফাঁকে স্বামী ইসরাফিল আলম কাউকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর পর থেকে মাহমুদা আক্তারের উপর শারীরিক, মানসিক ভাবে নির্যাতন ও অত্যাচার শুরু করেন তার স্বামী ইসরাফিল আলম ও তার পরিবার। একপর্যায়ে মাহমুদা আক্তার ডিভোর্স দিয়ে তার স্বামী। পরবর্তীতে মাহমুদা আক্তার দুটি সন্তানের মায়ায় ইসরাফিল আলমকে পুনরায় বিবাহ কথা বললে তার স্বামী যৌতক দাবি করেন। পরে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার যৌতুকের বিনিময়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/নোটারী পাবলিক আদালতের মাধ্যমে বিবাহ হয়।
হঠাৎ ৩১ সেপ্টেম্বর মাহমুদা আক্তারকে কিছু না বলে বিদেশে পাড়ি দেয় ইসরাফিল। বিদেশে যাওয়ার পর ইসরাফিলের সাথে মাহমুদার কথা কাটাকাটি হওয়ার শনিবার রাতে সকলের অগোচরে (ইদুর মারার ঔষধ) গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন মাহমুদা।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মাহমুদা আক্তারের পরিবার পক্ষ থেকে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
																			
																ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া ॥								 




















