কচুয়ায় সহজ পদ্মতিতে আগুন নেভানোর যন্ত্র আবিস্কার করেছে স্থানীয় এক উদ্যোক্তা। বিষয়টি ইতোমধ্যে মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে। তাকে নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় মিডিয়া একাধীক সংবাদ প্রকাশ করেছে।
বিদ্যুতের কোনো সংযোগ ছাড়াই কেবল বিকল্প ট্যাংকি ভর্তি পানি দিয়ে আগুন নেভানোর সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আব্দুল আজিজ । তিনি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১০নং গোহাট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা গ্রামের বাসিন্দা।
বর্তমান সময়ে যেকোনো অগ্নিকাণ্ডে এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে অনেক উপকার হবে বলে মনে করেন তিনি। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন আব্দুল আজিজ।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন বস্তি, কারখানা, হাসপাতাল, টাওয়ার, বাড়িঘরে আগুন লাগছে এবং পুড়ে মরছে হাজারো মানুষ। খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের বুক। কিন্তু আমরা কি তাদের জন্য কিছু করতে পেরেছি? না পারি নাই। তার কারণ আধুনিকভাবে দ্রুত আগুন নেভানোর মতো কোনো পদ্ধতি আমাদের জানা ছিল না। এই চিন্তা থেকে দেশের মানুষের কথা ভেবে বিগত ২-৩ বছর শ্রম দিয়ে আবিষ্কার করেছি দ্রুত আগুন নেভানোর পদ্ধতি। যার সাহায্যে আগুন অতিদ্রুত, অল্প খরচে, অল্প সময়ে নিভিয়ে ফেলা যায়।
আব্দুল আজিজ আরও বলেন, শিল্প কারখানার ভবনের উপরের পানির ট্যাংকি থেকে আলাদা পাইপ নিয়ে প্রতিটি কক্ষে বা বিশেষ বিশেষ তলায় সংযোগ থাকলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সুইচ টিপে পানি মেরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন নেভানো সম্ভব। তবে এ পদ্ধতিতে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ লাগবে না। শুধু ট্যাংকি ভর্তি পানি থাকলেই চলবে। যা আমি বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি। যে কোনো স্যানেটারি মিস্ত্রি একবার দেখলেই বা আমার কাছ থেকে শিখে নিলেই এই সংযোগ লাগানো খুবই সহজ।
এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল আজিজ বলেন, আমার এই আবিষ্কারে কোনো স্বার্থ নেই। দেশের মানুষ উপকৃত হলেই আমি গর্বিত ও আনন্দিত হব।
বিশেষ প্রতিনিধি: 




















